আমি এক রিকশা চালক
পক্ষীরাজের মত নেইক পালক
আছে সবল দুইটি হাত
আমরা খেটে খাওয়ার জাত।
             দুই পা দিয়ে পেডেল করি
             শক্ত করে হাতল ধরি
             শ্রম দিয়ে জোটাই পেটের ভাত
             আমরা খেটে খাওয়ার জাত।
মিছিল, মিটিঙ, হরতাল হলে
ক্ষুধার জ্বালায় পেটটি জ্বলে
জ্বরা-ব্যধি দেখা দিলে
সময় মত ঔষধ না মেলে
হরতাল বুঝি কাড়লো পেটের ভাত।
              সোয়ারি পেলে সেলাম ঠুকি
              মনের সুখে -
              শহর থেকে শহর ঘুরি
              পাড়ি দিই  থেকে ও পথ।
সোয়ারি বাবুর দেরি হলে
ধমক দিয়ে আমায় বলে
জোনছে চালা। ডাইনে-
কিম্বা বায়ে গিয়ে রাখ।
               এই ছোকরা এ দিকে নয়
               ওদিক দিয়ে হাক।
               এমনি ভাবে খিচিয়ে ওঠে দাত।
               শ্রম দিয়ে জোটাই পেটের ভাত।
মনের মত সোয়ার পেলে
দু'এক পয়সা বেশি দিলে
খুকুর জন্য কিনব পুতুল
বুবুর জন্য হয়ত তেতুল।
নইলে সবার লাগি ভাত।
               চেনা এ শহরের যত অলিগলি
               ট্রাফিক জ্যাম দেখলে
               আমি অন্য পথে চলি।
               কখওবা পড়ে পিঠে
               ট্রাফিক বাবুর ঘাত।
সবাই বলে আমি নাকি বালক
কিন্তু আমি যে এক রিকশা চালক
রিকশা চালিয়ে জোটাই পেটের ভাত
আমরা খেটে খাওয়ার জাত।।
।। ১৮/০৮/১৯৯৬ ইং।।
১৪।০১।২০১৪।।
খুলশি, চট্রগ্রাম।