কখনো সখনো এক দিন আসে
যেদিন সারা দিনের টানাপোড়েনের শেষে
এক ক্ষনিকের ভালোলাগা মূহুর্ত মন ছুঁয়ে যায়।
তখন কোজাগরী রাতে
ভালোলাগা স্বপ্ন হয়ে জাগে
কোন বিক্ষোভ নেই থাকে শুধু স্বপ্নময় প্রশান্তি
বিষাদের ভারী পাথর হালকা পালকের মতো
উড়ে কোথায় হারিয়ে যায়।
এক বিরামবিহীন শব্দময় শ্রুতি
অস্তিত্বের অনুভবে ছেয়ে থাকে,
মনের গহনে এক নিস্তরঙ্গ আবেশ
নেশার মত ছেয়ে যায়।
যে দিন হালকা পালকের মত বিষাদ হারিয়ে যায় সে দিনই পক্ষিরাজ মন
এই পৃথিবীতে সুন্দর এক জীবন খুঁজে পায়।
ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে থাকে
তবু সব যেন স্তব্ধ মনে হয়
অনেক সময় নিঃসঙ্গ হয়েও মনে হয়
কোন এক নিশ্চিন্ত বিশ্বাসে
মায়ের আঁচলে শিশুর মত নির্ভয়ে
সে ঘুমিয়ে আছে।
তখন একান্ত এক অনুভব
বিরাট এক অনুভবে মিলিয়ে যায় ।
মনে হয় জীবন শুধু ক্ষনিকের
এই ভালোলাগা মূহুর্ত্তের মালায় গড়া
কালের অবিরাম ধারাস্রোতে বয়ে যায় ।
কোন অসুখ আর নেই, কোন ভয় নেই,
কোন বিদ্বেষ আর নেই
আছে শুধু ক্ষনিকের ভালোলাগার
এক অপেক্ষা।
তখন জীবনের চলার পথে প্রতি দিনই
সাতঘোড়ার সওয়ার হয়ে
দিন আসে বর্নালী আলোকে।
বুঝি দিনের সব বিষন্নতায়
লুকিয়ে থাকে ক্ষনিকের
ভালোলাগা এক পরশপাথর ।