কখনও বৃষ্টি নামে অঝোর ধারায়
কাকভেজা দিন ফিরে আসে ছায়ার মত
ইস্কুলের ছুটির ঘণ্টা শুনতে শুনতে
শহরে কৃষ্ণচূড়ার দিন কেটে যায়
অচেনা যেন এক পথভ্রষ্ট মানুষ
অলীক ঠিকানা খুঁজে ফেরে পথে
শেষে অন্ধকারে পথ হারিয়ে যায়।
দুরে ফেরিওলার হাঁক শোনা যায়
আবার অবচেতন নিস্তব্ধ অন্ধকারে
সব শব্দ নিমেষেই মুছে যায়,
অচেনা অক্ষরে অজানা ভাষায়
শুধু কিছু হিসেব লেখা কাগজের পাতায়
শেষে শুকনো পাতার মত ঘূর্ণিঝড় ওঠে
সব ভালোবাসা হারিয়ে যায় ।
আদিগন্ত অতল সাগরের তট রেখায়
আছড়ে পড়া চূর্ণ ঢেউয়ের শিখরে
আলো নিভে যায় পড়ন্ত বেলায়,
চেনা স্টেশন থেকে না ফেরার গাড়ি
একদিন ছেড়ে যায় অগস্ত্য যাত্রায়
আগত যাত্রীদল সব চলে গেলে
হঠাৎ যে মুখরতা শেষ হয়ে যায়,
নির্জন প্লাটফর্ম মূক পড়ে থাকে,
মাঝিছাড়া ভাঙা নৌকা ভাসতে ভাসতে
হারিয়ে যায় বিস্তৃত নদী মোহানায়।
একঘেয়ে অবসর প্রতিটি দুপুর
বিবর্ণ দিনমান কায়ক্লেশে বাঁচে
চার দেওয়ালের অলঙ্ঘ্য সীমায়,
শুধু ধার করা সময় বুঝি কাটে
শেষ খেয়ার অন্তহীন অপেক্ষায়।
তবুও নিশীথ রাত নামে সম্মোহিনী
ঘুম ভর করে দু চোখের পাতায়
এখন অবশেষ জীবন রৌরবে
ফেলে আসা সোনালি দিনের স্বপ্ন
বারে বারে ছুঁয়ে যায় ।