একদিন ঘুমকাতুর চোখে চুড়ির ঝনাত্ ঝনাত্ শব্দ। না চাইতেই ভোর এলিয়ে এলো চাঁদের চোখে। হটাৎ-ই এলো, দৈব ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ সে ঘুম! তার ডানহাতে লেপ্টে ছিলো অজানা নৈপুণ্যের ছাপ। ভোরগেলাসের ছায়া মাড়িয়ে তিনদেয়ালের শব্দ পেলাম। অসুখী দ্বীপে ভরসার ঠাঁই; অসুস্থ-সংকীর্ণতার ভিড়ে একটি খুঁটি। নিশ্চয়ই সেখানে জেগে আছে প্রিয়মুখ। হাতড়ায়ে দেখি, সত্যিই!
জেগে আছে সে।
রাজকন্যের গল্পটা এই শেষ।… ঘোড়ার পিঠে সাহসী সুকুমার। বিজয়াঙ্কিত পতাকা হাতে,রাজকন্যে আর সিংহাসনের প্রাণ; এক বীরপুরুষ। রাজ্য-রাণী-শতপুষ্পা মন তার প্রশান্তির উঠোনে। য্যানো—যুদ্ধ জয়ের আমিই সব, তার চোখে!
বিলাসময় ইচ্ছের ভোকাট্টা, ছেড়া জুতোয় পাহাড় পাড়ি—সব সম্ভব। তৃষ্ণা পেলে জল, মাঠের রৌদ্রে আচল—তাও সম্ভব। সে থাকলেই!
আমি উড়ে চলি। খাঁচা ছেড়ে দেয়াল। দেয়াল ছেড়ে বন। বন ছেড়ে সমুদ্র। আর…ধুকপুক বুকে পড়ে যাই ঝরণায় পিছলে। অতল থেকে অতলে। উহুঁ! ভাগ্যিস ঘুম ভেঙ্গে তোমার নিঃশ্বাস পাই মা..