সংখ্যালঘু বাড়ির মেয়ে
নিশ্চিন্তে নির্ভাবনায়, ঘুমুতে পারি না আর, মায়ের কোলে;
বুকের দগদগে পোড়া ঘা, পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বিশ্বালয়ে।
কালো কূহক, তাড়িয়ে বেড়ায় প্রতিক্ষণ, ঘোঁত ঘোঁত শব্দে;
শবদেহি নগ্ন সভ্যতার বুকে, হেঁটে চলে শূকরপাল, বীরদর্পে।
শান্তির পায়রা ওড়ানো, যজবানের
ইচ্ছায়, সব মত্ত, অগ্নিউৎসবে;
কলঙ্কের চিত্রকলায়, ক্রুর হাসি, সভ্যতার নামাবলী, মোড়া আবাসে।
ধ্বংসের মুখোমুখি ভবিষ্যত, চলে যাচ্ছে, নিরুদ্দেশ ঠিকানায়;
মর্ত্য এখন দানবের দখলে, মহানন্দে উল্লাসে সব, গ্রন্থ পুড়ায়।
কত দেখব, বিজাতীয় পুঁজির ক্ষুধা, পৈশাচিক তান্ডব, খাণ্ডবানলে;
অনাগত ভবিষ্যৎ, অশান্তির কেতন, উড়ায়ে যায়, শান্তির মিছিলে।
সভ্যতার বোতাম, এক এক করে, খুলে দেখেছি, এর বুকের ভিতর;
বিশ্বালয়ের শান্তি, সাম্যের পসরা, সাজিয়ে বসেছে, গদা হাতে ইতর।
এই কী সভ্যতা!
আর কতটা নিচে নামলে, একে অসভ্যতা বলা যায়?
আর কতটা হীন হলে, এ উন্মাদগুলোকে, অমানুষ বলা যায়?
গ্রন্থকার নিরব, ঈশ্বরের দৃষ্টি গেছে মাকড়সার জালে ছেয়ে;
গ্রন্থগুলো এখন, অজ পাড়াগাঁয়ের, সংখ্যালঘু বাড়ির মেয়ে।