বিভীষণ
(একুশের গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে)
দিন যায় মাস যায়, আসে কালো আগস্ট ফিরে;
শোকাতুর বাঙালির, হৃদয়-ক্ষত আগস্ট ঘিরে।
ইচ্ছে হয় ব্যথিত পাতাটি, ছিঁড়ে ফেলি এক্কেবারে;
এই কলঙ্কের বোঝাটি যেন না টানি বারেবারে।
মিরজাফররা পরাধীন করে, দুই শত বছর ধরে;
মেনাফেকরা দাসত্ব আনে, চব্বিশ বছরের তরে।
নিমকহারামরা স্তব্ধ করে, বাঙালির বজ্রকন্ঠ;
বেজন্মা বেইমান ছক আঁটে,নির্বংশ করার ষড়যন্ত্র।
আজ ছদ্মবেশী প্রেতাত্মারা পেখম মেলেছে বহুরূপে;
মুখে ধর্মকথা চাঁদ-তারা ভেকধারী সব ওহীরূপে।
খোল বদলায় ভোল পাল্টায়, সদা থাকে ক্ষমতায়;
বংশ প্রদীপ নিশ্চিহ্ন করবে, বসে আছে অপেক্ষায়।
দাঁতাল হাসির জানোয়ার, ছুঁড়ছে গ্রেনেড কতশত;
প্রভু সহায়, নইলে আবার স্বাধীনতা হতো ভূলন্ঠিত ।
হে মহীয়সী মুজিব কন্যা, এখনো বুঝনি ওদের ছল?
ভেকধারী দেশটা চেটে খায়, বাদ নাই নর্দমার জল।
মুজিব-কোটে মুজিব-বন্দনা, মুখে তুলে যত ফেনা;
জন্ম নেয় শাহেদ পাপিয়া, সম্রাট আরো কত হায়েনা।
আশপাশ চাটুকার ভরা, ভন্ডদেহি মুজিব ভক্ত;
অর্জন লুটে নিবে ওরা, যদি না হও শক্ত।
কপট হাসিতে ফন্দি আঁটে, সাফল্য করিছে যে ম্লান;
দেশ বিদেশে নাক কাটে, চেতনা নাহি রয় অম্লান।
শক্ত হাতে ধরো রশি, ওদের গলায় দাও ফাঁস;
বীর বাঙালি সাথে রবে, যতকাল থাকে শ্বাস।
একুশ-হামলায় শহীদ আত্মা, শান্তিতে থাকুক চিরতরে;
প্রার্থনা, এ কলঙ্কিত অধ্যায় চাই না আর দেখিবারে।
যাঁরা জীবন অতিক্রম করে,পেয়েছে শুধু দুঃখদহন;
তাঁরাই দেশপ্রেমিক, অকাতরে চুমে যায় মৃত্যুগহন।