ভাবনার আকাশে, অস্তমিত সূর্যের গোধূলি;
মনের রঙে ভাসে, কালো মেঘের মিতালি।
শঙ্কা কী যেন হয়, কখন কেড়ে নেয় জীবনের গতি;
ফুলশয্যার জীবনে ছন্দপতন, বারবার পড়ে যতি!
পরযায়ি চঞ্চলা মন, চারিদিকে শুধু ভয় আর ভয়;
আঁধার হয়ে বেঁচে থাকা, কৃষ্ণ গহ্বরের গভীর বলয়।
বাম অলিন্দের গভীরে, রেখেছ যাকে যতন করে!
কেন ভাবো আর ও-রে, ভুলে যাও একেবারে।
তোমার অস্মিতা স্বাভিলাষ, সে খাচ্ছে কুঁড়ে কুঁড়ে;
হয়েছ খেলার পুতুল, বন্দি বিবস কারাগারে।
প্রতীতি বিহতি, অজীব মন তোমার,
প্রয়াস বিসর্পনে;
কেন মরার আগেই, মরছ বার বার? ভয় শিহরণে!
তুমি চলে এসো, সময়ের সাহসী যোদ্ধা, আমার কাছে!
ভয়কে করবে জয়, সব ডরভয় হবে শুধু মিছে।
ইচ্ছেশক্তির কাছে হারবে, যত তরাস সব বিলক্ষণ;
ধরণীতে প্রথম চিৎকারে, অবধারিত বিদায়ের ক্ষণ।
যদি বাঁচো, বীরের বেশে, যদি মরো তা-ও বীরের সাজে;
আনো আলো আঁধার কেটে, সাহসী হও ভয়ের মাঝে।
মরবেই তো একবার, কাপুরুষের মত কেন বারবার?
মন-ত্রিশূল করে জাগ্রত, আলোর ভূবনে এসো আবার।
চেয়ে দেখো পৃথিবীটা, কত বর্ণিল আলোয় ছেয়ে আছে!
সঞ্চিতা! সময় নেই আর, ফিরে এসো আবার, আমার কাছে।