-:বঙ্গবন্ধু :-
কলমেঃ  শ্যামল সরকার

আমার ভালোবাসার বেদিতে, তোমাকে আসন দিয়েছি স্থায়ী;
হে মহান, মৃত্যুদহনে চিরঞ্জীব, চেতনার আকাশে মৃত্যুঞ্জয়ী।
সব চলে যায়, তুমি বেঁচে আছ, আমার স্মৃতিপটের মনিকোঠায়।
এ কী! অমরত্বের জয়মাল্য, জড়ায়ে গলায়, ভালোবাসায়!

তোমার অপত্য স্নেহ, গভীর ভালোবাসা, ছড়িয়ে যায়;
নীল হয়ে যাওয়া, হৃৎপিন্ডের পদ্মা মেঘনা যমুনায়।
আকাশ বাতাস সমুদ্র, বিদীর্ণ করে ভেসে বেড়ায়;
সবুজ ঘন শ্যামলিকায়,
অপরূপ শোভার সোনার বাংলায়।


নিশীথ রাতের আঁধারে,
জলপাই ট্যাঙ্কের কর্কশ শব্দ, কালের সেরা মিরজাফর,
উন্মত্ত নেশায় মেতে উঠে রক্তের হোলি খেলায়।
ঐ জ্বলজ্বল করা ধ্রুবতারা করতে স্তব্ধ,
তপ্ত বুলেট ছুঁড়ে তোমারি বুকে। সংহার করতে ইতিহাস, দুর্বার দুর্বিনেয় 'মুজিব'কে।

তুমি কৈবর্তের বিদ্রোহ, মহাকাব্য, সারা বিশ্বের শোষিতের নেতা।
নিপীড়িতের চোখে অবাক বিশ্ব,
গর্বিত বাঙালির জাতির পিতা।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান,
তোমার রক্ত মিশে গেছে দ্রোহে। মুক্তিকামী মানুষের রাজপথে,
পলাশ জবা কৃষ্ণচূড়ার শাখে।

তুমি ষড়্ঋতুর বর্ণিল বৈচিত্রে,
সবুজ মাঠে লাল সূর্য,
অরূপ শোভায় জীবন্ত পতাকা আঁকো,
পতাকামোড়া দিয়ে থাকো জাগ্রত।
তোমার তর্জনীর নিনাদ আকাশে বাতাসে,
আমাদের ধমনীতে বহমান  তোমারই রক্ত;
আমরা বদলা নিবোই নিবো,
একদিন জাতি হবে দায়মুক্ত।