পুরাকালে জীবন নামে
ছিলেন একজন রাজা,
অতল জ্ঞানের সিদ্ধান্ত এই:
বিশ্ব করবেন তাজা।

অভাবীদের দিলেন তিনি
'যোগ্যতা'র সু-সেবা,
দীন হবার বুদ্ধি দিলেন
অহংকারী যে-বা;
কামুক শ্রেণির পুরুষপ্রতি
দিলেন মাতৃবোধ,
এমনি করে সূক্ষ্মভাবে
বিপদ করলেন রোধ;
এমনি করে রাজামশাই
শুভশক্তির বলে-
জীবনবিধান রেখে গেলেন
বিশ্বধরাতলে।

জীবনধারার শিক্ষা পেয়ে
বহু গুণীজন,
মানুষ গড়ার জীবনপথে
যুক্ত করল মন,
রাজার বিধান প্রচারে তো
বহুজনই খাটে,
দুঃখের বিষয় এই হলো যে-
কেউ আসছে না বাটে!
জানলেন রাজা, কর্মীরা সব
কথার নীতি বলে,
স্বভাবযাজী হয়ে তারা
কখনো না চলে!
এসব শুনে রাজামশাই
সবাইকে বলেন ডেকে,
এত কথা কেন বলো
আপন স্বভাব ঢেকে?
কথা-কাজে চিন্তা-চালে
মিতালি রয় যত,
মানুষ তোমায় শুনবে জেনো
সেই পরিমাণ মতো।

রাজার কথা শোনার পরে
ভরদুনিয়ার মাঝে,
অল্প কিছু লোক পেলেন তাঁর
জীবনদায়ক কাজে,
বাকি সকল ফাঁকিবাজির
চক্রে পড়ে যায়,
জীবনপথের  জীবনকর্মী
কে খুঁজে আর পায়!