ভূতেরা সব করতে পারে যাকিছু তার ইচ্ছা-
বুড়ির কাছে নানান গল্পে শুনেছি এ-কেচ্ছা।
হাওয়ায় ভেসে ওসব ভূতে ডাকে নানান সুরে,
এক নিমিষেই যেতে পারে দূর পাহাড়ের চূড়ে।
শেওড়াগাছে ভূতের আড্ডা, বাঁশঝোপেও হতো,
শ্মশান-কবর-ভিটেঘাটায় ওদের আড্ডা যত!
পেত্নী-চোরাচুন্নি-মেছো-গেছো ভূতের দল,
সেকেলে ওই নানান ভূতে বাঁধাত কোন্দল।
কী ভয়ংকর অবস্থা যে শুনেছি সেই গল্পে,
যাক্ রে বাবা, এখন তো নেই, গেলাম বেঁচে অল্পে!
এসব ভাবতেই ঘুমিয়ে গেলাম, স্বপ্নেও মশগুল-
যা দেখেছি, মনেও আছে-- নেই কোনো তা'র ভুল।
স্বপ্নে দেখি: ভূতগুলো সব হঠাৎ যাচ্ছে মরে,
হাড়পাঁজর সব ঝড়েরবেগে দূর সাগরে পড়ে,
নেই কোনো ভূত, নেই কোনো ভূত, ভূতশূন্য সব দেশ,
স্বপ্নে আমি দেখছি বিশ্ব, দেখছি- সব ভূত শেষ!
হঠাৎ শুনি ইথার বংশে ফোনদা ভূতের গলা,
মানব-মাথার শিরায় শিরায় এদের হাঁটাচলা।
ফোনদা ভূত এই বিশ্ববুকে অতি কু-কৌশলে,
মানুষগুলোর খাচ্ছে মাথা সূক্ষ্ম শক্তিবলে!
দাঁত খিচিয়ে ফোনদা বলছে, আমায় কি কেউ চেনে,
সাধ্যি-বা কার ফোনদা ভূতকে নেবে একটু জেনে?
মূর্খ মানুষ! চেনবে আমায়? আমি রক্তচোষা,
পাপের পথ সব আমার জানা, আমি মৃত্যুপোষা;
এমন একটা দিন আসবে শোন্ মেধাশূন্য জাতি
অন্ধ হবে ভীষণ অন্ধ না-দেখবে জ্ঞান-বাতি!
এসব বলে ফোনদা আবার গর্জনে ঠিক দুম!
ওমনি আমার ভেঙে গেল সেদিনকার সে-ঘুম।
ঘুম থেকে ঠিক ওঠার পরেই বন্ধু আমার এসে,
মোবাইল গেইমে অ্যাড করেছে আমায় ভালোবেসে,
ফেসবুক আর ইউটিউবে যাচ্ছে কেটে দিন,
ভবিষ্যত হোক জাদুর চেরাগ দোহাই আলাদিন!