আমি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারিনা,
উত্তর খুজে পায়না অনেক সহজ প্রশ্নের।
আমরা বোধহয় ভুলে যাচ্ছি
আমাদের প্রথম পরিচয়,
আমরা শ্রেষ্ঠ মানুষেরা এ কোথায় নিয়ে
চলেছি, আমাদেরই অযুত বছরের অজস্র
অন্ধকার নিঙড়ানো একমাত্র প্রাণ পৃথিবীকে!
লোভে-বিদ্বেষে আগ্রাসী হিংস্রতায় কোন বীরত্বের
আখ্যান লিখছি বাতাস বিষিয়ে,
সর্বনাশা পরমানু অস্ত্রে নিশ্চিন্হের পথে সাঁজিয়েছি এ সবুজ গ্রহকে?
এখনও কত অন্ধকার এ মাটির পাঁজরে পা্ঁজরে
ক্ষুধিত -নিরাশ্রয় মানুষ আজও পথে পথে
প্রতিদিন কত মানুষ অচিকিৎসায় বিনা পথ্যে
পশুর মত মারা যায়,তবুও পাশে
না দাঁড়িয়ে ধংসাত্বক যুদ্ধাস্ত্রের সাঁজে মানুষের পৃথিবী। আমি উত্তর মেলাতে পারিনা।
সহমর্মিতা আর ভালোবাসায় উত্তরণের
একমাত্র পথ সবায়ই জেনেও যন্ত্রনাময় নরকের
পথে কেনো ছুটছি ।
বুকে স্থান না দিয়ে ঘৃনায় দূরে ঠেলে পরস্পরের
শত্রু হচ্ছি!কেনো এ অস্থির বিদ্বেষ?
আমরা কি পারিনা শুধু মানুষের পরিচয়ে
বন্ধুত্বের পৃথিবী গড়ে ধংসাস্ত্র বিনষ্ট করে
ক্ষুধিতের মুখে আহার তুলে দিতে,
সবাই ঘরে থাকবে সেই ব্রতে ব্রতী হতে।
সমস্ত নারিকে মাতৃজ্ঞানে সন্মান দিয়ে
চোখের জল মোছাতে।
এসো আমরা বক্ষে সেই আগুন প্রজ্জ্বলিত
করি, যার প্রদীপ শিখা সমস্ত অন্ধকার
মুছে আনবে,ভালোবাসার ফুল সুগন্ধে এক নতূন আলোর সকাল।
সেদিন আমি নিশ্চিন্তে ঘুমোব।