জেগে ওঠো বাঙালী, স্বকীয় সত্বায়,দৃঢ় প্রত্যয়ে
জাগো মৌনতা ভেঙে।
যারা তোমারই কৃষ্টি -সংস্কৃতি আর উদার মহানতার
ঐতিহ্যকে মানবতার দরবারে কলঙ্কিত করতে চায়
তাদের বিরুদ্ধে বজ্রসম গর্জে ওঠো।
হীন সংকীর্ণতার প্রতিবাদে প্রমান করো
তোমার শ্রেষ্ঠত্ব।
তুমি উঠে দাঁড়ালে হিমালয়ও মাথা নত করে,
স্থিমিত হয় আগ্রাসী উন্মাদনা।
তার বহু স্বাক্ষর তুমি রেখেছো বিদ্রোহে।
তোমার যৌবন যখন মুষ্টিবদ্ধ, বজ্রনির্ঘোষে উত্তাল
ছন্দে তেজকোটালে বেগবান হয় তখন খর কুটোর
মতো ভেসে যায় মেকী ভন্ডামির মূর্খ অহংকার।
মাতৃ ভাষাকে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান দিতে রক্তের
অর্ঘ্যে তুমিই তো লিখেছো ৫২ র "একুশে ফেব্রুয়ারি "
হে বাঙালী।
একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধে হাতে হাত রেখে তোমারই
বাঙালীসত্বা দৃঢ় প্রতিরোধে ভূবন কাঁপিয়ে
ঝড় তুলেছিল -"জয়বাংলা বাংলার জয়"
খসে পড়েছিল তাসের ঘরের মত নৃশংস সশস্ত্র অত্যাচারীর সামরিক দম্ভের দূর্গ।
অযুত প্রাণের তাজা রক্তের অঞ্জলিতে শিকল
ছিঁড়ে তুমিই প্রমান করেছিলে পারো।
স্বাক্ষর হয়েছিলো বাঙালী পারে।
সেই না মেনে নেওয়া অদম্য শক্তি আজও তোমার
মননে উজ্জীবিত, শ্বাস নেয়,নিয়ত বয়ে চলে
ফল্গুধারার মত "মুক্তমনা"ই তা প্রমান করে।
শুধু আরও একটা ঝড় চাই।মানবতায় ঘুন ধরানো ক্রিড়নক
দূর্বিত্বশক্তির ভীত উপড়ানো দৃষ্টান্তকারী হবে
সে লড়াই।
সম্মিলিত বাঙালী শক্তির সে হবে এক মহা জাগরণের যুদ্ধ। বিশ্ব দলিলে স্থান দখল করে নেওয়া
নব চেতনায় মানবিক শপথে চির উদার জয়ের যুদ্ধ।
যে যুদ্ধে
আর কেউ বে-ঘড় হবেনা।
সম্ভ্রম হারাবে না আর কোনও নারি।
সব শিশু পড়তে যাবে পাঠশালায়।
দেশান্তরী হবেনা আর একটিও প্রাণ।
এই বাংলায়ই প্রমাণ করবে -বাঙালী ভালোবেসে
বুক পেতে দেয়।
আমরা, বাঙালীরা যেন মাথা উঁচু করে
মনে রাখি, -আমাদের উত্তরসূরি -বিদ্যাসাগর- বিবেকানন্দ-
কাজি নজরুল ইসলাম,
আমাদের গর্ব , বঙ্গবন্ধু বীর মুজিবর রহমান,
আমরা যেন না ভুলি,
বাঙালীই- একতা শক্তির, পথদ্রষ্টা সাম্যবাদে রচে সে গান।
বাংলা আমার গর্বে থাকুক বাংলা হোক অহংকার।
বাংলা বাঁচাতে জন্ম নেবো
এই বাংলায় আমি আবার,
আমি যুদ্ধ লড়বো বারংবার।
যুদ্ধ মানেই প্রাণ কাড়া নয়,
মুছিয়ে দেওয়া অন্ধকার,
ঘোর তমষায় দীপ জ্বালিয়ে
রুদ্ধ প্রাণেও খোলা দ্বার।