মাছরাঙা-বর্ণিল স্বপ্নের ঝাঁক ওড়ে
গাঙচিলের অধ্যবসায়ী ডানার মতো অবিরাম।
রাজা ! তুই স্বপ্ন দেখাস মৈথুনরত সরলাকে,
যতবার বদলে তোর বহুরূপী মখমলে মুখোশ
তোর পালিত বুভুক্ষু হায়না বারংবার দংশে
অনুজার কৌমারীত্ব শানিত নখরে,
সফিস্ট আর ভানুমতীর খেলে বর্বর বৈতরণীতে
তলিয়ে যায় বিচারের পান্ডুলিপি।
নগরীর ঘষা-ফাটা বাসে বাদুড়-ঝুলা ঘর্মাক্ত নোনা শরীর স্বপ্নের খোঁজে তন্নতন্ন ব্যাবচ্ছেদ করে শহরের অলিগলি,
ফিরে না যোজন যোজন দূরের
স্বপ্নের দুর্ভাগা সৌকর্য সম্ভার।
কাপ্তান! তোর সমাবেশ, ভোজসভা, বিলাসিতার
লুক্কায়িত বণিক-দাতা ভাসায় আমজনতার আহার্য পোতাশ্রয়ের লোনা জলে,
নাই! নাই! ধ্বনির অনুরণনে ঘুমিয়ে পড়ে
দীর্ঘ চিৎকারে ক্লান্ত ক্লিষ্ট ক্ষুধার্ত শিশু।
নির্লজ্জ নারীর গূঢ় বাচ্চা! নিষ্ঠুরতম বেহায়া নীরু!
তুই বাঁশি বাজাস অনর্গল ভারাটে সভায়
তাত্ত্বিক ধ্রুপদ সুরের মূর্চ্ছনার।
স্বপ্নের ফসিল হাতে মায়ের খুচরো অপেক্ষারা
বুকের ভেতর অতন্দ্র, সময়ের সমান্তরালে,
শাহবাগ, একুশের মিনার কেঁপে ওঠে
বৈষম্যহীন সমাজের গর্ভযন্ত্রণার স্লোগানে স্লোগানে,
মৃতবৎসা বাংলার জরায়ু ছিঁড়ে
মুক্তি মিলেনা স্বাধীনতার আলোর শুভ্রতায়,
ক্ষুধার্ত পিচাশের মতো বিভাজিত হয় ভ্যানগার্ড
অর্থের আঘ্রাণে,
বাংলার স্বর্ণাভ সিংহাসনে আসীন রাজা,
হয়ে যায় অচেনা রাক্ষস রাবণ।
দহে প্রিয় বাসভূম বৈষম্যে নাশের শোভিত স্লোগানের অন্তরালে
বাংলার প্রাগৈতিহাসিক বহতা চিরায়ত বৈষম্যের দহনে।