অবিরাম ঝরছে কবিতার অসার পঙক্তি পঙ্কে ঝরে যাওয়া সুবাসিত শরতের শিউলি মতো জন্মান্ধ বধির জনারণ্যে,
শোভিত মঞ্চ থেকে বাতাসের ইথারে ছুটছে ব্যর্থ অগ্নিঝরা কথার কুণ্ডলী কড়ি দিয়ে কেনা বন্ধ্যা শ্রোতামন্ডলে,
রাজনৈতিক কোট আর রহস্যময় কালো সানগ্লাস পরে শাসকের পোদ্দার, ধর্মপতি বনে ধর্ষণ করে নিষ্পাপ তরুণী,
অন্তবাস ছিন্নভিন্ন করা অর্ধনগ্ন ছবিসহ শিরোনাম করা কাগজ বাণিজ্যিক প্রচারে ক্ষুধার্ত কুকুরদের আহার্য যোগায়,
নিঃস্ব নির্লিপ্ত ক্রেতার সম্বল লুফে বণিক রূপকথার প্রাগৈতিহাসিক দৈত্যের মতো ফেঁপে উঠা দম্ভে অক্লান্ত তাণ্ডব চালায় সমাজে শাসনে শোষণে,
পঙ্গপালের মতো হাজারে হাজার পাতি রাজনৈতিক চাঁদাবাজ শহরের অলিগলি, গ্রাম্য পাড়ায় পাড়ায় বুকেরপাটা জানান দিতে দাপুটে হিংস্র বর্গী সাজে।
খাদির আজানু পাঞ্জাবি, কাঁধে ব্যাগওয়ালা জনতার হিস্যা আদায়ে আপোষহীন ঘর্মাক্ত বুদ্ধিজীবীরা চিরদিনের মতো একাত্তরে গুম হয়ে গেছেন দালালদের ব্যায়নেটের খোঁচায়,
এখন পাজেরোধারী পোষ্য নতজানু বুদ্ধি বিকিকিনিজীবী ভ্রমিত করে জাতিকে ডাহা মিথ্যাচারে,
কবরে শায়িত নিথর চে গুয়েভারার মতো সত্তোর্দ্ধ মুক্তিযোদ্ধা বড় বেশী ক্লান্ত, অবসন্ন, আশাহত হয়ে নিষ্ক্রিয় নির্জনে,
মিথ্যার বর্ণিল ঘূর্ণিতে ত্রস্ত বিপন্ন সত্যবান উড়ে গ্যাছে দিকভ্রান্ত মরালের মতো নিরুদ্দেশের দেশে।
দুঃসাহসিক মুজিবের বজ্রকণ্ঠে ক্ষুরধার পঙক্তির সঞ্জীবনী উচ্চারণে রক্তের শিরায় শিরায় জাগাবেনা আজ আর কেউ শিহরণ,
শিহরিত সম্মোহিত অভিযাত্রী তরুণের মতোন ছুটবেনা কেউ একাত্তরের হায়েনাদের মতো এই ছল-বেশ্যার ছেলেদের বুকের পাঁজর ঝাঁঝরা করে নারীর সম্ভ্রম, ঘর্মাক্ত শ্রমজীবীর সহায় সম্বল রক্ষা,
অনিয়ম অসঙ্গতি অবিচার শোষণ ছিন্নভিন্ন করে দুদণ্ড শান্তির জন্য।
যেন কোথাও কেউ নেই,
নেই কেউ এই অনন্ত মধ্যাহ্ন রাতের প্রহর ছিন্ন করতে সকালবেলার পাখি।