এমন যদি হতো, হে ঈশ্বর !
কর্মীর নিষ্কলুষ পবিত্র ঘর্মাশ্রু,
হীরকের অনাবিল ঔজ্জ্বল্যের মতো
শোষকের মনের গভীরে এক চিলতে করুণাময় দীপ্ত আলোক ছড়াতো ----
আমি তোমার নতজানু সেবাদাস হয়ে আমৃত্যু পোহাতাম জীবনের তাবৎ প্রহর।
এমন যদি হতো, তোমার যাদুকরী লীলায়
জিঘাংসার উড়নচণ্ডী যুদ্ধ থেমে গিয়ে
নিষ্প্রভ হাসির শিশু আর অকাল বৈধব্যের তরুণীর অশ্রুপাত; গঙ্গা মিসিসিপি ইউফ্রেটিসে রক্তের প্লাবন থেমে যেতো -----
আমি তোমার নাম জপে জপে আঙুলি চালাতাম জপমালায় অহরাতদিন।
এমন যদি হতো, তোমার অভিশাপে বোবা হয়ে যেতো
গেরুয়া নামাবলির আড়ালে আবডালে লুকে থাকা ঠকবাজ পবিত্র শয়তানের সুরেলা কন্ঠ,
হেমিলনের বাঁশিওয়ালার মতো ভণ্ড নেতার সুমধুর সুরে বিমোহিত হতোনা তরুণদল ----
আমি ভক্তির নৈবেদ্য সাজিয়ে নিমগ্ন আরতিতে মসগুল হয়ে যেতাম জন্মজন্মান্তর।
এমন যদি হতো, হে ঈশ্বর !
নিষ্পাপ তরুণীর দেহখানি ব্যাবচ্ছেদ করতোনা হায়নার পাল, মানুষের ন্যায্যতা ছিন্নভিন্ন হতোনা বুভুক্ষু রাক্ষসের আগ্রাসনে,
ভালোবাসার নান্দনিক নির্ঝরে স্নাত হতো জনারণ্য----
আমি তোমার নতজানু সেবাদাস হয়ে আমৃত্যু পোহাতাম জীবনের তাবৎ প্রহর।