শৈশবে টোলে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে পড়া
বাল্যশিক্ষা'র পঙক্তিগুলো মজ্জাগত করে দিলো গুরু,
এখন মিলেনা তার ছিটেফোঁটও অনিয়মের নিয়মে হাঁটা কুহক বন্ধ্যা পৃথিবীর এইসব দিনরাত্রিতে,
বোধহয় ঈশ্বরের এখন নিশ্চিন্ত নাকডাকা ঘুমের শতবছরের নিদ্রাপক্ষ,
আমার ইচ্ছে করে কূট শরে ফুটো করে দিই
তার সৃষ্টির নামে কলঙ্কিত সব অনাসৃষ্টি
---- গুরুর সত্যবান ঈশ্বর যদি আচমকা জেগে উঠে, পাছে কিছু বলে !
এভাবে ভাবতে ভাবতে পোহায় যৌবন, হলদে সকালের আকাশ বেয়ে নামে পিঙ্গল বিবর্ণ বিকেল,
আমার সাজানো বাগানের টসটসে ফল চুষে আগ্রাসী দাঁতাল বানর
আর হাজারো কষ্টের বৈতরণী বেয়ে তুমি চলে গেলে, গুরু, ঐ মহাসিন্ধুর ওপারে তোমার প্রিয় নিদ্রিত ঈশ্বরের কাছে।
ইচ্ছে জাগে নিবিষ্ট নিমগ্ন আরতির ঘোলাটে ধোঁয়ায় ডুবে থাকা পূজারীর জীর্ণ শীর্ণ ঘরদোর দুমড়ে মুচড়ে গড়ে তুলি অট্টালিকা,
বাসনা জাগে অভাবে অনটনে শঠের প্রলোভনে হয়ে উঠা নগরবধু হয়ে যাক নগরীর মুক্ত কর্মমুখর নারী,
ইচ্ছে করে কিশোরীর সখের ভঙ্গুর কাঁচের চুড়ির মতো চুরমার করে দিই তাবৎ প্রেতের সুরম্য বসতি
--- গড়ে তুলি নতুন দিনের পূতপবিত্র মানুষের সৌকর্য সম্ভার,
বাসনা জাগে গামারশ্মির তীব্র দহনে পুড়ে খাক হয়ে যাক মিথ্যা, লুকোচুরি, শোষণের নিয়ন ঔজ্জ্বল্যের প্রাসাদবাসী
--- তারপরে ভোরের বিহঙ্গের মতো নিষ্পাপ জনারণ্যে সয়লাব হয়ে যাক শুদ্ধাচারী পৃথিবী।