মাত্রা বিন্যাসঃ ৪+৪+৪+২

শতবছর কাটলো প্রহর, হুঁশ এলোনা বঙ্গে,
স্বাধীন দেশে  দাসের স্বভাব রয়ে গেলো অঙ্গে।
কাণ্ডারী সব অহংবোধে, দর্প নাহি ছাড়ে,
নিজেরই দোষ খোঁড়া কথায় চাপায় পরের ঘাড়ে।
ধর্ম দিয়ে বর্ম বানায় লুকায় নষ্ট চরিত,
পদপদবী অর্থকড়ি সব হয়ে যায় তড়িত।
রাজনীতিতে কেনাবেচা, মিথ্যাচারে ভাসে,
সৎ লোকেরা নির্বাসনে, বণিক পদে আসে।
নেতার মাঝে নিঃস্ব দীনের ভাবনা নাহি মনে,
মাৎস্যনীতি, স্বজনপ্রীতি, দৃষ্টি পরের ধনে।
ঘাটেঘাটে চাঁদাবাজি বড়ো নেতার নামে,
দিনেদিনে মূল্য বাড়ে, ভেলকি সওদা দামে।
মঞ্চে তাদের গলাবাজি, ভোটে জিতে টাকায়,
কিশোর যুবা অস্ত্রসাজে এলাকাতে ছড়ায়।
মগের মুল্লুক কায়েম করে হক কেড়ে নেয় তারা,
বিচার করতে, হুমকি রুখতে দেয়না কেহ সারা।
নারী সতি ত্রাসে কাঁপে আপন স্বাধীন দেশে,
রাজার নীতি আনলো ভীতি যমরাজাই বেশে।
কোমলমতি তরুণ যুবা পোহায় পাথর প্রহর,
বেকার বসে, দেখে ফোঁসে অবিচারের বহর।

ধর্মবাণী মর্মবাণী ঘুমপাড়ানি গানে
আর কতকাল ঘুমাবে সে বিশ্বজয়ের তানে?
ঘুচে দেবে অসংগতি, অনিয়মের পাহাড়,
আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে দিলে ক্ষমতা সব সাবাড়।
রুদ্ধ করে আর কতকাল রাখবে ঘরে তারে,
আলোকছটা ঝরে দেখো সাতসমুদ্রের পাড়ে।