রাত্রিচর বলছি
                      শ্যামা
পাঁজরে ভাঙা ইটে দাঁড়িয়ে একটি অন্ত্যজ গ্রাম
মেরুদণ্ডে কাঁদছে কাঁদর
শরীরী প্রতিটি কোণ ধরে উঠে আসছে
কিছু দুখের সুধাধবল খই
এই উদ্ধৃত অন্ধকারে তাকিয়ে থাকার মত
একটি ছিদ্রও জ্যান্ত নেই
বাতাসের পাতলা ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে
একটি রাতের পোস্টমর্টেম দলিল
যে পাখিগুলো সকাল পৌছে দেয় আমার মাদুলিতে
তারা সব মৃত
আমার পাশে শীতের রাত্রির মত শুয়ে আছে
একটি তাঁতের মেয়েমানুষ
কালো টিপ কালো পাড় কালো ফুল বুক তার
আমি পাশ ফিরতে ভয় পাচ্ছি
এখনও রক্তে রাত্রিবোঝাই কয়েক বিন্দু নৌকা
অন্তরালে বাঁকা বক চুষে খাচ্ছে অতীত

গ্রামটি এখন শহরের পায়ের তলায় চাষ করছে
আমার ইটে হলুদ আগাছা পাহারা দিচ্ছে শ্মশানের দাঁত
আমি নিজেকে ফেলে চলে এসেছি অনেকটা পথ
একবার পিছন ফিরে তাকিয়ে ছিলাম
ওটা নিতেও ভুলে গেছি!!