“সেদিন তোমায় ফেরাবো না”
স্বাগতা
সহস্র সময় ধরে ঝরছি,
কিংবা আরও বেশি!
ভিজিয়েছি তোমার প্রান্তর
করুণায়, প্রার্থনায়।
আকুল ব্যাথায় চেয়েছি
বুকে নিতে বারবার
আঁজলা শূন্য করে
ফিরে পেয়েছি শুধু
খরাতপ্ত দীর্ঘশ্বাসের বাষ্প।
বয়ে গেছি তোমার বুক বেয়ে
পা ছুঁয়ে আবেদনে-
তোমার কাজল গলে
সমস্ত আঁধার ধুয়ে
গড়িয়ে গেছে আমার অতলে।
আজ দৃষ্টিতে ধোঁয়াশা,
ভারে ভারে গুমোট
আমার পৃথিবী,
আর তোমার তৃষ্ণার্ত বুকে
তোমার শুষ্ক বিশ্বাসে ফাটল
তিরস্কারের আর্তনাদে
আমি বিশ্বাসঘাতক।।
এবার ভাঙব আমি
তোমার শ্বাস রোধ করে
আমার কান্নায়।
এবার আমার জলোচ্ছ্বাসে
তোমাকে ডোবাবো আমি।
ফের…সবকিছুর শেষে,
আবার তোমার চোখের পলক শুকাবে যখন,
ধুয়ে যাওয়া চোখে,
পরিষ্কার দেখো!
তুমি আছো সেই!
শুকিয়ে ওঠা বুকে ফাটলের জুলুনি আবার।
শুধু আমি নেই।
তোমার ছায়া হয়ে
অভিমানী আকাশ নেই।
তোমায় স্নান করানো
আদুরে সাগর নেই।
ফিরে ডাকার কেউ নেই,
তোমায় ফেরানোর কেউ নেই।
শুধু তুমি আছো…
সুকঠিন… চৌচির।।