দরজা বন্ধ হল। খট করে একটা শব্দ কানে এলো।
পা চলছে, তবু যেন চলছে না।
পিছন ফিরতে গিয়েও ফিরতে পারল না চোখজোড়া।
জানি না লজ্জা, নাকি ঘৃণা।
ইচ্ছের কমতি? হ্যাঁ, সেটাও সম্ভব।

পা জোড়া থমকে থাকতে চাইলো খুব। পারলো কই?
ধীরপায়ে হেঁটে চলল জীবন আবার!

বাঁধাই করা রাস্তার ক্ষয়ে যাওয়া ইট গুলোতে কুয়াশায় জমা জল চকচক করছে।
চোখজোড়া পোড়া মনকে বলল, দাড়া রে বাপু, দেখি দুদণ্ড।

ঠিক তখনই দুর থেকে ভেসে এলো,
হৃদয় এলোমেলো করে দেওয়া বেহালার করুণ সুর!
বুকটা ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইলো ফুসফুসে জমা গরম বাতাস।
দম ফুরিয়ে এলো।
চোখ ঝাপসা করে এলো এক রাশি নোনাজল।
হ্যাঁ, এলো।
বেরুতে পারলো কই?

এতো স্তব্ধতার মাঝেও শিশিরে ভেজা গাছের পাতা চুঁইয়ে পড়া পানি—
টপটপ শব্দে জানান দিলো, "ওরে, আমি তোর গল্পখানা জানি!"
সাথে এলো সাবধান হাতে দরজার খুট খোলার অস্পষ্ট সেই শব্দ।
তবুও পা দু'খানি থামলো কই?
হতেও তো পারে মনের ভুল?