কেন জানিনা সব হারিয়ে যাওয়ার পরেই মনটা বোঝে যে, না, এবার সব হারিয়েছে!
পথ বন্ধ হয়ে যাবার পরেই বোঝে, হা অদৃষ্ট! আর যে পথ নেই কোনও!
জানিনা কেন!
জানিনা কেন উপায়হীন অসহায় চঞ্চল মন শূন্য মরূদ্যানে উপায় খুঁজতে আকুল হয়ে পড়ে।
পাবে না, এ তো অজানা নয়, তবু কিসের ও ব্যাকুলতা?
হারিয়ে ফেলার আগে কেন মন বোঝে না?
বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই কেন সে দোরের কপাট খানা সজোরে চেপে ধরে বলে না যে, না,
এ দোর বন্ধ আমি হতে দেব না!
দুটো মানুষ যারা কিনা অন্তরে আজও একে অপরকে ভালোবাসে,
হৃদয় যাদের অদ্বিতীয় আজও,
যারা কিনা আজও সেই স্বপ্নগুলো ভুলতে পারে নি যেগুলো দুজনের হাতে হাত রেখে বোনা;
তারা আজ পথের এমন এক মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে,
যেখানে থেকে আর কিছুই সম্ভব না,
সম্ভব না ফিরে দেখা।
ওপারে দেখা যায়, ঐ তো, আরে ঐ তো সে দাঁড়িয়ে!
তবু ছুটে গিয়ে তাকে ছোঁয়া যায় না।
ভাবতেই শিউরে উঠি,
সে পথের বিষণ্ণতা কতটা বিভীষিকাময়!
আজ আর কোনও উপায় নেই, এ কথাটা ভাবার সময় যে দু'ফোটা জল কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়বে,
ও বিষাক্ত অশ্রুর মর্ম সে বুঝতে পারছে কি-না, সে কথাই বা জানার উপায় কি?
সে কি আদৌ জানবে কখনও সেই বাষ্পাকুল দীর্ঘশ্বাসের কথা?
ভাবতে ভয় পাই,
তীব্র অভিলাষ সত্ত্বেও আর যে তার পাশে গিয়ে দাঁড়াবার সুযোগ নেই!
অন্তর পুড়ে ছাই হবার জোগাড় হলেও কেউ সে অগ্নি দমনে আসবে না।
হয়তো জানতেও পারবে না!
হারিয়ে ফেলা কত যে সহজ সেটা হারিয়ে ফেলার আগে এ অবুঝ মন যদি বুঝত,
তবে বোধহয় আরও একটু সাবধান হতো সে, না?
সব পথ বন্ধ হবার আগে যদি একবার সে সাহস করে ছুটে গিয়ে পথের মুখে দাঁড়াত,
তাহলে বুঝি ঐ ঠিকানা হীন মোড়ে আজ আর দাঁড়াতে হতো না, তাই না?
ভাবতেই ভয় পাই, যদি সত্যিই কখনও সে মোড়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়ি অজান্তেই?
যদি নিজেই নিজেকে বোঝাতে হয়,
আজ আর উপায় নেই কোনও?
বিধাতা, নিশ্বাস যেন বন্ধ হয় তার আগেই।