সে কি দূরদর্শিতা লুকিয়ে ছিল ১৯৪৭ সালে
মাউন্টব্যাটনের দেশ বিভক্তির খেলায়,  
পোড়া চামড়ার গোলামগুলো বুঝলো না,
বুঝলো না তাঁরা সে কি সর্বনাশা বাস্তুশাপ  গড়ে নিল
ঐ কাঁটা তারের বেড়া টেনে বঙ্গ মাতার বক্ষের উপর দিয়ে।
ঐ পাড়ের গঙ্গার উত্তাল স্রোত এই পাড়েতে পদ্মা ঢেউ।  
ওরে নদী তোর আবার ধর্ম কিসেররে?  
তোদেরও কি কোন ধর্ম আছে? ধর্ম যদি নাই থাকে,
তো গঙ্গা থেকে পদ্মা হলি কেনরে?  
ধর্মতো আমদের সম্পদ, ওরা হিন্দু, আমি মুসলিম
ওরা বলে রাম আমি বলি রাহিম,ধর্মতো আমদের!
ঐ দূর আকাশের শঙ্খচিলের কি কোন দেশ আছে?
কোন দেশের মুক্ত বিহঙ্গ’রে তোরা, কার আকাশে ভেসে বেড়াস?
ঐ নীল আকাশটা কাররে? হিন্দুর না মুসলিমের?

দুটা শব্দ গড়ে দিল দু’টা জাতির অদৃশ্য পাথুরের দেয়াল,
লেখা হল ভিন্ন দুটি ইতিহাস গড়ে উঠলো একই সাংস্কৃতির
ভিন্ন দুটি অঙ্গন, ভিন্ন দুটি সত্ত্বা।
এ যেন প্রাচীন কোন জনপদের বিচ্ছন্ন দুই মহাসড়ক।
মা, শব্দটি যেন থমকে দাঁড়ায় কাটা তারের রক্তাক্ত প্রান্তরে,
গুলিতে ঝাঁঝরা দেহ নিথর পড়ে থাকে সীমানার এপারে,
পাখিরাই ভাল ওদের কোন সীমানা নাই,
ওদের কোন ধর্ম নাই, ওদের কোন জাত নাই।
আমি পাখি হতে চাই, মুক্ত বিহঙ্গের মত উড়ে যেতে চাই,
আমায় পাখি বানিয়ে দাও... ।

১৩/১০/২০১৬ইং
টোলামোর, আয়ারল্যান্ড