অগস্ট ১৬, ১৯৪৬ইং –কোলকাতার দাঙ্গায়,দাঙ্গাকারিরা
সালমার সালোয়ার খুলে রাস্তায় ছুড়ে ফেলেছিল,
মনে হয় ওর সহরও ওর কাছে এতবার আসে নি
যতবার একের পর এক দাঙ্গার বীরেরা এসেছে
ওর যৌনির সুখ নিতে, ওর নিতাম্বরে মুখ দিতে।
পাড়ার বেশ্যাটাও মনে হয় ওর সারা জীবনে
এত কাস্টমার নেয় নি যতটা দাঙ্গার যোয়ানরা
রাস্তায় ফেলে রহিম মোল্লার বৌটার দুই ঊরুর মাঝে
নগ্ন ঠাকুর চালান করেছিল মোল্লার গরম লাশটা পাশে রেখে।
বাহাত্তুর ঘণ্টার পৌচাশিকতায় কয়েক হাজার ধর্মীয় লাশের স্তূপ
রূপ নেয় গৃধ্র আর শেয়াল,কুকুরের প্রিতী ভোজের মহা উৎসবে।
প্রায় হাজার বছরের সহবস্থানের পালা ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেল;
প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসে ধর্মীয় উম্মাত্তে রক্ত আর যৌনির নেশায়,
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জন্ম নিল এক হিংস্র তত্ত্ব দ্বিজাতি।
কোন মতেই হিন্দু আর মুসলিম এক সাথে থাকতে পারে না।
অক্টোবর ১০, ১৯৪৬ইং নোয়াখালী, কোজাগরি লক্ষ্মী পূজার দিন,
প্রতিশোধের আগুনে ঘৃণার ঘি ঢেলে দিল গোলাম সারোয়ার হুসেনির
রক্ত গরম করা জ্বালাময়ী ভাষণ, “ওরা মেরেছিল পাঁচ হাজার
আমরা মারবো পঞ্চাশ হাজার” যেমন কথা তেমনি কাজ।
যুদ্ধের আগে সেনাপতি যেমন যুদ্ধকালে সিংহনাদ দিয়ে উজ্জীবিত
করে তার সৈন্যদের, ঠিক তেমনি উজ্জীবিত করে পাঠিয়ে দিল
অঘোষিত এক নগ্ন ধর্ম যুদ্ধে মুসলীম লীগের ঝাণ্ডা ধর্মের পোঁদে গেড়ে।
সেদিন ছোট খাট একটা খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় নোয়াখালীতে,
বার এ্যাসোসিয়েশন ও জেলা হিন্দু মহাসভার সভাপতি রাজেন্দ্রলালের
মুণ্ডটা কেটে হুসেনির পায়ের তলায় এনে ফেলেছিল যে বীরপুরুষেরা,
উপহার পেল তারা গনিমতের মাল রায়চৌধুরীর যুবতী দুই মেয়েকে ,
উফ কি যে আনন্দ, আনকোরা কচি দুটো মাল,স্বাদ যেন গোলমেনের মতই।
কচি কচি যৌন কেশে শিশিরের মত রক্ত মিশে আছে, লেগে আছে আঠালো সাদা
বিষ্ঠা আর করদাক্ত ঘামের বিশ্রী গন্ধ, মরেছেতো কখন এই বার একটু ক্ষান্ত দে?
‘মালুদের আবার বৌ বেটি কিরে আকাটা গুলাকে মেরে ছিনাল মাগিদের দে ভরে
জন্মের মত করে, সারোয়ারের এই ফতোয়া শুনে মেয়ে ছেলেদের রেখে
ধূতিগুলো খুলে জ্যন্ত দিল পুড়িয়ে বিনা চিতায় তুলে এঁকে এঁকে সব কটাকে।
এ সব তো ইতিহাস, এই খানে মরেছিল হিন্দু আর ঐ খানে মরেছিল মুসলিম
কোন খানেই মানুষ মরে নি। কোথাও কোন মা,বোনকে ধর্ষণ করা হয় নি
হয়েছিল হিন্দু আর মুসলিম নামক কিছু বেশ্যাদের, যারা ছিল শুধুই চামড়া,
ওরা তো মানুষ ছিল না, ওরা কাওর মা বোন ও ছিল না,
ওরা ছিল গনিমতের মাল আর নগর বঁধু, কেউ মানুষ ছিল না কেউ না।
পঁচা লাশের গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে উঠে, কোলকাতা থেকে শুরু লাশের স্তূপ,
নোয়াখালী, বিহার, পাটনা, গুজরাট এঁকে এঁকে আচ লাগে সারা ভারত বর্ষে,
মুসলিম লীগ, আর কংগ্রেস ব্যস্ত মানচিত্র টানা টানি নিয়ে, হাহাহহাহা।
নিজেদের পশ্চাতদেশে নরম গদি লাগানোর জন্য যারা মাউন্টব্যাটেনের কাছে
পাজামা আর ধূতি খুলে তুসি গ্রেট হো জাহাপানা বলে পোঁদ মারা দিয়ে,
পেয়ারে পাকিস্তান হামারা আর জয় হিন্দ বলে চেঁচিয়েছিল,
কি সূক্ষ্ম ঘৃণার বীজ বোপণ করে ঐ ভিক্টোরিয়ার জারজ সন্তানদের দেখিয়েছিল
তোমরা যা করেছো ঠিকই করেছো এইবার যা করার আমাদের করতে দাও... ।
আজব এক চিড়িয়াখানার আজব দুটি দেশে, নেংটা হয়ে বলে আমি পেয়েছি জামা বেশ।
টোলামোর আয়ারল্যান্ড
২২/০৯/২০১৬ইং