তুমি কী করো সারাদিন ?
ঘুম থেকে জেগে উঠেই কি
দ্রুত পা রেখে মেঝেতে হয়ে ওঠো হরিণী ?
সংসারের নৃত্যনাট্যের জন্য হও কি তখনই
প্রস্তুত এক নৃত্য দক্ষ রমণী ?

নাকি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবো কিছু কিছুক্ষণ ?
নিজেকে নিছকই শূন্য, স্তব্ধ, অসংলগ্ন,
অথবা স্থানচ্যুত মনে হয় ?
কী যেন নেই, চারিদিকে ক্ষয়,
বহু কিছু কেড়ে নিয়েছে আজ হঠাৎই দুঃসময়,
এরকম মনে হয় ?

এরপর সমাজের জরুরী মানুষের মতো
অথবা জরুরী মানুষের মাঝেই সময় কাটে ?
সৃষ্টিশীল সব সংলাপে অলংকৃত করো জীবন ?
সকালে জেগে ওঠার পর, প্রক্ষালন,
তারপর কি কফি বানাও নাকি চা-ই পছন্দ,
কী নাস্তা করো তুমি ?
কোনো গল্প এসে টোকা দেয়,
শিল্প দিয়ে সৃজিত তোমার ঐ উৎফুল্ল সত্তায় ?
কাগজ ও কলমের দিকে তাকাতেই
কেউ ডেকে উঠলে, বিরক্ত কি হও ?
নাকি দীর্ঘশ্বাস ফেলে হেঁটে যাও, হেঁটে যাও
সংসারের নিয়মিত নিয়মের পথে ?
বাজারে যাও ? মাছওয়ালার সাথে
তর্ক করতে পারো ? রান্না করো ? ভালো লাগে?
নাকি বন্ধুদের সাথে কোনো না কোনো
আনন্দ নির্মাণের পরিকল্পনা আঁটো
মোবাইল ফোনে?

যখন বাইরে যাও, তাকাও নিশ্চয়ই মানুষের দিকে,
চিনতে পারো আজ ? অচেনা কি মনে হয় ?
অনেকেরই জন্ম হয়েও
জন্ম হয়নি যেন এই শ্যামল শোভিত মাটিতে ।
হাহাকার নাকি তিরস্কার প্রজ্বলিত হয়
তোমার ঐ রমণীয় বাঙালি করোটিতে ?
এ দেশের প্রেমে কোনো অবাধ্য কন্যার মতো
আজো বুকে আগলে রাখো তুমি
ঐ মহান থেকে শুরু করে আমাদের পরিচয় আর ইতিহাস,
সেটুকু কিন্তু ভালো করেই জানি ।

তাই যখনই তোমার তীরে আলো জ্বলতে দেখি,
ভাবি, সারাদিন ধরে কী করছো তুমি ?
আর নির্বোধ এক প্রেমিকের মতো উড়ন্ত চুম্বন ছুড়ি ।

(২৮.০২.২০২৫)