প্রতিবাদের ভাষার নেই কোমলতা, মধুরতা ।
নির্মম যুদ্ধের যোদ্ধার মতোন প্রতিবাদের কবিতা ।
প্রতিবাদী কবিতার প্রধান অস্ত্রই
সত্য ও নিরপেক্ষতা ।
নেই তার শব্দ বাক্যের শরীরে পক্ষপাতিত্ব,
স্বার্থপরতা ।
গা বাঁচানো, মেরুদন্ডহীন
কেউ পড়তে পারে না প্রতিবাদী কবিতা ।
তাদের ফুল পাখি কল্পনা বিলাসী পৃথিবীকে
দারুণ বিপন্ন করে প্রতিবাদী কবিতার বাস্তবতা ।
প্রতিবাদের কবিতা বলে,
রাষ্ট্র, জনগণ, অধিকার,
দুর্নীতি, দুর্মূল্য, দুঃশাসন,
বৈষম্য, বিভেদ, অবিচার,
দুশ্চরিত্র রাজনীতির লুটপাট,
প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ ক্রুরতার কথা ।
বানোয়াট গল্প গাথা, রূপকথারা নিষিদ্ধ
প্রতিবাদী কবিতার কঠোর বাস্তবতার
সংগ্রামী ভুবনে ।
তাই প্রতিবাদের কবিতা
ন্যায়পরায়ণ নিঃসঙ্গ বীরের মতো
একা একা হাঁটে সাহিত্য অঙ্গনে ।
এবং সে হাসে, নিরাশ নৃপতির মতো মনে মনে ।
অথচ প্রতিবাদের কবিতারা
দুঃসময়ে যে তারাই আলোকবর্তিকা,
সেই সত্য,
গা বাঁচানো, মেরুদন্ডহীন, ফুল পাখি
কল্পনা বিলাসী ঐসব পুতুলগুলোও জানে ।
(২৫.১০.২০২৪)