তুমি যদি কবিতা না হও,
তবে কে হবে কবিতা আর, আমার কলমে ?

কবিতা হবার সকল বৈশিষ্ট্য নিয়ে
হয়ে উঠলে যেদিন এক শিক্ষণীয় চরিত্র
অনায়াসে হতে পারতে যেন সুনীলের গল্প
অথবা সত্যজিতের মতো কারো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
তবে কেনো হবে না আমার সামান্য কবিতা,
বলো ?

যেদিন যোগ দিলে আমাদের সমাহারে
এমনই আশ্চর্য ছিল তোমার খুশির মাত্রা
দুদিনের মধ্যেই বদলে ফেললে ঠিকানা
যেন তোমার অঙ্গীকারের কোনো ব্যত্যয় না ঘটে ।

অথচ কিছুদিন যেতে না যেতেই
রূপকথার মতো অতি নিকৃষ্ট কিছু ডাইনী
মুখে প্রশংসার হাসি মেখে রেখে
ঠেলে ফেলে দিল তোমাকে বিয়োগের গহবরে ।

অথচ একটুও পড়োনি ভেঙে,
আমি হলে,
কবিতায় আর ইতর কথায় অভিশাপ দিতে দিতে
বৃশ্চিকের মতোন বিষাক্ত হয়ে উঠতাম কবেই ।

অথচ তুমি আজো হাসতে পারো,
সাদা মেঘের মতো ভাসতে পারো
আর কথা বলতে পারো
পাখির মতো ছটফটে আনন্দ নিয়ে
এবং ঈর্ষাকাতর কালনাগিনীদের অহেতুক অবিচার
দিতে পারলে ফেলে কী অবজ্ঞায়
তোমার অন্তরস্থ ক্ষমার সাগরে !
শিক্ষণীয় তোমার চারিত্রিক চারুকলার
এই অনন্যতা
আমার কবিতা হবে না, তা হয় কী করে ?

আমার কবিতার শব্দ বাক্যের অক্ষম কন্দরে
শুধু ব্যক্তিগত বেদনা স্বার্থপর এক অন্ধকারে
জুরাসিক সময় থেকে বেঁচে থাকা পোকাটির মতো
সতত জন্ম নিলেও, আমার আছে বিবেক,
এবং সে বিবেকের সম্মুখে যখন
একদম কোনো কারণ ছাড়াই মহা অন্যায়কৃত
এক চরিত্র হয়ে গেলে,
এবং সে অন্যায় সহ্য করে নেবার দেখালে তোমার
অপার শক্তি,
তখন গ্লানিতে, প্রীতিতে, হৃদয় ভাঙা কবিত্বে
অতি সহজেই যে আমার কবিতা হবে তুমি,
এবং স্বতঃস্ফূর্ত স্নেহে ও বন্ধুত্বে
তুমিই তো হবে আমার আশ্চর্য মধুর শেহেরজাদী,

সে আর এমন আশ্চর্য কী, বলো ?

(১৭.০২.২০২৫)