যে লোকটি মৃত্যুর কথা বলতো
সে আবার অক্ষম কবিত্বে কবিতাও লিখতো।
রাজনীতির আলাপ করতো দারুণ উৎসাহে
মাছ ব্যাপারীর সাথে,
বোঝাতো ট্রাফিক আইন অধীর রিকশাওয়ালাকে।
বাজারের ফর্দকে দুলিয়ে দুলিয়ে
বলতো রাষ্ট্রের অজগর,
একই পথে যাওয়া আসা একঘেঁয়ে দৃশ্যের শহর
ছিল তার যা কিছু ভ্রমণ ও উপার্জন এর জন্য
সংগ্রামী প্রহর ।

তবু মাঝে মাঝে লোকটি হতো অসম্পৃক্ত,
হয়ে যেত
লোকালয় থেকে দূর উপত্যকার মতো নীরব,
অথচ বহুবিধ চিৎকারে বিদীর্ণ হতো তার
কবিতার প্রান্তর।
কবিতার দেহ জুড়ে ভাসতো
ডানাযুক্ত সমালোচক প্রেমিকা,
প্রশ্নবিদ্ধ ঈশ্বরের নিঃশব্দতা আর বন্ধুত্বহীন সন্ধ্যার
বাতাসের তিরস্কার....
প্রেমিকা ও অলি গলির পণ্ডিতদের
অগাধ দর্শন জলে
লোকটি কুকুরের মতোন কাটতো সাঁতার।

স্বদেশের কথা কোথাও উঠলেই লোকটির হৃদয়
প্রেম আর গর্বে হয়ে পড়তো অতি মাত্রায় প্লাবিত!
ভালো রাখতে জননীকে
আজীবন সৈনিকের মতো ছুটে চলতো একা একা
আর দুঃখী কথামালার আঁধার ঘরে
লোকটি প্রতিদিন সখ্য প্রদীপের মতো ফিরতো।

শুধু কিছুটা আশ্চর্য !
কবিতাকে রাজকন্যার মতোন ভালোবেসেও
কখনো কখনো মৃত্যুকে লোকটি
আরো নিশ্চিত প্রিয়তমার মতো ভাবতো।

(১৯.০৬.২০২৪)