তোমাকে মঙ্গলে নেবো
আছে মঙ্গলে সাম্পান।
তাতে চড়ে মধুচন্দ্রিমার
করবে মধু পান।
মঙ্গলদ্বারে সুরক্ষা দেবে
দৈব দারোয়ান।
থাকবে না কোনো অমঙ্গলের
নিশানা দন্ডায়মান।
পৃথিবী থেকে নোঙর তুলে
চলো মঙ্গলেই বুনি প্রাণ ।
যায় যায় যেন পৃথিবী নরকে
নেই আর পরিত্রাণ ।
পৃথিবীর আয়ু থালা চেটে খেয়ে
ঘটাবে মানুষ নিজেদের অন্তর্ধান ।
চিন্তার অতীত মহাবিশ্বে
বেজে চলছে নাকি মানুষের মতো
আরো জীবনের গান ?
ঈশ্বরের গ্রন্থে সে কথাই যেন বিদ্যমান।
আপাতত চলো মঙ্গলেই হোক
প্রজাতি রক্ষার অভিযান।
তবে থাকি অপেক্ষায়,
কি বলো, বিজ্ঞান?
মানব ভুবনে
কত আশ্চর্য যে করেছো সম্ভব !
করেছো প্রতিবিধান ।
অপরাজেয়, অপ্রতিরোধ্য
মানুষের হাতে বিজ্ঞানের অবদান।
বিজ্ঞানই করাবে মঙ্গল সাম্পানে
মঙ্গলের মধু পান।
(১৩.০৭.২০২৪)
** প্রথম দুটো লাইন সেদিন হঠাৎই মাথায় এলো! তবু সেখান থেকেই এগোতে থাকলাম বাক্যে বাক্যে উদ্দেশ্য হীন। অনুভব সৃষ্টি করাই যখন কবিতায় মূখ্য, সেটা ভেবে থামিনি। কিন্ত প্রথম স্তবকের শেষ কথাগুলো লিখতেই একটা গন্তব্য খুঁজে পেলাম এবং সেইভাবে কবিতা শেষ হলো।