কিছুই বলবে না । মানুষ ভাববে না ।
ভাববে না জনতা, নাগরিক অথবা মালিক ।
ভাববে, যখন তখন পায়ে পিষ্ট করা জীব,
কীট কিংবা ক্লীব ।
সাম্য সুশাসন ঐক্য মানবিকতা ও অধিকার
ইত্যাদি শব্দের সামান্যতম চিহ্ন অথবা চিৎকার
অস্তিত্বের মাঝে মোমবাতির নরম আলোর মতো
আদরে জ্বলে উঠলেও এক ফুৎকারে নিভিয়ে দেবে।
হাত পেতে নেবে শুধু বঞ্চনা। পিঠে নেবে লাঠির বাড়ি ।
বুকে নেবে গুলি । হাতকড়া পরে যাবে কারাগারে
অথবা না ফেরা কোনো গুম অন্ধকারে ।
বিভেদ বিভক্তির বিষাক্ত বাতাসে নেবে নিশ্বাস,
ক্ষমতা শক্তির যারাই যখন যেভাবে বলবে
বদলে দেবে এই মাটির জন্ম পরিচয়ের ইতিহাস।
স্বৈরাচার বলো, বিদ্রোহী বিপ্লবী বলো,
মূলনীতি থাকবে একই, প্রতিহিংসা এবং ত্রাস ।
গ্রাম্য চোরের মতোন প্রহারে প্রহারে করবে মৃতপ্রায়
স্বনির্মিত গণতন্ত্র এবং উগ্রবাদ ।
লুটপাটের এই আনন্দ ধামে পেতে রাখা হবে
অগণিত ফাঁদ । করবে না স্বপ্নের আবাদ ।
জীবন হবে বামনের চাঁদ ।
চাইবে না বিচার । চাইবে না স্বাধীনতা ।
নেই পাবার নজির, অতএব কখনো পাবে না ।
শুধু বিড় বিড় করে পাগলের মতো নগরে বন্দরে,
হাটে ও বাজারে, রাস্তা, ফুটপাত, লোকালয়,
গৃহ অভ্যন্তরে দিতে পারো নিজেকেই অভিশাপ ।
এই মাটি ও তার সবুজ,
এই মানচিত্র ও তার পতাকা,
জন্মেছিলো একদিন মহা পুণ্যের মতো
অথচ সেটির অস্তিত্ব আজ যেন এক মহা পাপ ।
(২৪.১০.২০২৪)