নীল আকাশের নীচে আছে ময়ূরাক্ষী নদী,
সেই নদী ঘিরে থাকে সবুজ বনানী ।
স্বপ্ন যেন সৃষ্টি হয় সেই নদীর তীরে,
পাকুর গাছে একাকী ঘুঘু ডাকে বিষন্ন সুরে ।
আমি তোমাকে নিয়ে যাবো সেখানে,
স্বপ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে চেয়ে রবে আনমনে ।
কচি সবুজ ঘাসের উপর তোমার পা ফেলে,
উদাস চোখে তাকিয়ে রবে নদীর কাঁচ জলে ।
ছোট্ট নদীর ধার ঘেঁষে বিশাল ঘাসের ছায়া,
ছায়ার মাঝে দাঁড়িয়ে তুমি সবই যেন মায়া ।
নদীর হিম জলে শরীর জুড়িয়ে যায়,
ঘুঘুর বিষন্ন সুরে চোখে অশ্রু আসে ।
ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে খুঁজি আমি কাকে ?
(০৫.০৭.১৯৯০)
(২৭ থেকে ২৯ বছর বয়সে লেখা "আর্চিস এক্সারসাইজ বুক" নামাঙ্কিত খাতা থেকে)
হিমুকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর প্রথম উপন্যাসের নাম "ময়ূরাক্ষী"। হিমু চরিত্রটি নিয়ে লেখা এই প্রথম উপন্যাসটি যখন পড়ি, তখন হিমুর কল্পনা জগতের ময়ূরাক্ষী নদী আমাকে ভীষণ প্রভাবিত করে। সেই প্রভাবে ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে আজ থেকে ৩৫ বছর আগে আমার ১৯ বছর বয়সে একটি গান রচনা করি (আমার ইউটিউব চ্যানেলে আছে)। আর বলতেই হয়, আমিও বড় হয়েছি হুমায়ূন কালে, লেখক আনিসুল হক যেমন বলেন। ধন্যবাদ।