যে মেয়েটি ছিল শন্ শন্ বাতাসের মতো
উৎফুল্ল ও প্রগলভ,
প্রফুল্ল প্রজাপতির মতো মাতিয়ে রাখতো
আমাদের অঙ্গন,
সেই মেয়েটিই হঠাৎ, খাঁচার নিশ্চল পাখির মতোন
নিশ্চুপ এখন ।
আমি তার পাশে গিয়ে ক্ষণিক দাঁড়াই,
তার পাশ দিয়ে চলে যাই,
অথচ কিছু না কিছু অন্তরঙ্গ সংলাপের সে মেয়েটি
বসে থাকে এখন কেমন যেন নিস্তরঙ্গ
স্রোতমালা থামিয়ে রাখা নদীর মতো ।
বিকৃত নির্দেশে
ডানা কেটে নেয়া এই বিমর্ষতার মাঝেও
আমাদের আঙিনায়
মেয়েটির স্বভাবজাত অপূর্ব মন
আমাকে চেনায় তবু ম্লান এক ভঙ্গিমায়
পূর্ণ বিকশিত কিছু কাঞ্চন এবং পারুল ।
অতঃপর মেয়েটি আহত হরিণীর মতো
হাঁটতে থাকে আর কেউ কেউ আমরা
তুলে দেখাই এ অন্যায়ের দিকে
আমাদের ব্যথিত আঙুল ।

আমার কবিতা হয়ে উঠতে চায়
অশ্লীল তিরস্কারের এক অশ্রাব্য কুঠার,
কেটে টুকরো টুকরো করতে হতে চায়
উদ্যত সে,
কৃতদাসীতুল্য তেলের মাধ্যমে পাওয়া
এক সিজোফ্রেনিকের অযোগ্য ও ধর্ষকামী
দায়িত্বের ভার ।

(২৮.১১.২০২৪)