কবিতার জন্য কী না করতে পারি !

প্রেমের মধুরতা অগ্রাহ্য করতে পারি,
ভেঙে যেতে দিতে পারি প্রেমিকার চোখের নীড়ে
পাখা ঝাপটানো কোনো মিষ্টি ভবিষ্যত ।
আপামরের দৃষ্টিতে রুগ্ন কারখানার মতো
দিনযাপন করতে পারি দারুণ অনুৎপাদনশীল,
চালচুলোহীন অপেক্ষামান থাকতে পারি আমৃত্যু
জীবনের ব্যর্থ বিপন্ন সব ঘাটেও।
কলম থেকে ঝরাতে পারি রক্ত ও অশ্রুর মতোন
আপাত অর্থহীন সব বাক্য।
অসীম অপচয়ে মলিন করে দিতে পারি
অমূল্য সব দিন,
যা সফলতাকামী ও বস্তুবাদীদের অস্তিত্বে
চরম ঘৃণ্য এক কর্ম ।
উপহাসের ভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকি নগ্ন ও নির্লজ্জ,
দেহে ধারণ করি পরাজয়, তিরস্কার,
শুধুমাত্র কবিতার জন্য।
বিষকাঁটার মতো বিঁধে থাকতে দেই সমস্ত সত্তায়
বিষন্ন সংলাপ, মনের গভীরে আদর করি
সর্বস্ব হারানো নারীর মতো অনুভবের তীব্র আর্তনাদ।

কবিতাকে তুলবো বোলে কোনো শুদ্ধতার শিখরে
পরিহার করি বিবিধ বিলাস, পরী ও প্রাসাদ ।
পাপিষ্ঠই থাকি জীবনের পানশালায়
গ্রহন করি প্রতিক্ষণ ছন্নছাড়া আর
তুচ্ছ হয়ে থাকার গরল আস্বাদ ।  

কবিতার জন্য নিরর্থক এই আত্মত্যাগে
কবিতা শিল্পের শরীরে যতই করি না কেনো
সমৃদ্ধ শব্দ ও বাক্যে নিনাদ,
সরকারী নথিতে অথবা সংসার সম্পর্ক সৃজনে
ক্ষুন্ন এই কবি সত্তা আপাদমস্তক এক মহা শূন্য
নরাধম, যে সকল প্রকার নিরিখে
                        প্রথমেই হয়ে যায় বাদ ।

(০৯.০৯.২০২৪)