হে রাষ্ট্র, তোমার কাছে তো রাজত্ব চাইনি ।
অথচ আমরা নিজেদের মালিক বলেই জানি ।
তোমার রাজনীতির কলুষিত পাঁকে হাত পা ডুবিয়ে
কাঁচা টাকা আহরণে চাইনি হতে উদ্ভ্রান্ত,
চাইনি পাগলের মতো অসভ্য মাতামাতি ।
চেয়েছি সামান্য সামর্থ্য,
টেনে যেতে আমাদের সরল সংসারের ঘানি ।
অথচ সেই সামান্য অধিকারের পথও
রেখেছে তোমার রাজনীতিবিদ নামের রাক্ষসেরা
কী লোলুপ প্রহরায়, তালাবদ্ধ, অবরুদ্ধ ।
ফেরাউনের দাসের মতো তোমার দুঃশাসন
আজো আমরা মাথা নত করে মানি ।
না হলে কাঁচা মরিচ, আলু, পেঁয়াজ, ডিম,
চাল, ডাল, তেল, শাক-সবজি,
সামান্য এইসব আহার্যে সাধারণ জনতারা
রাখলেও হাত,
কেনো তোমার সীমাহীন লোভের আগুনে পুড়ি ?
হে রাষ্ট্র, তুমি কি আমাদের নাগরিক ভাবো ?
জনতা নাকি প্রজা ? অন্তত মানুষ ?
নাকি তাও না, হয়তো ভাবো তাহলে পিঁপড়া !
সুলভ মূল্যে
সামান্য দৈনিক আহারের অধিকারের জন্য
সারিবদ্ধ ধাবমান হলেই পায়ে পিষ্ট করে দিতে
মুহূর্ত মাত্র দ্বিধা করো না ।
হে রাষ্ট্র, অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাবার পর
জেনে গেছে নিশ্চিত, দুর্ভাগা তোমার জনতারা,
শত বিদ্রোহ আর গণ অভ্যুত্থানেও
তোমার দেহ থেকে রক্তচোষা জোঁকের মতো
রাজনীতিবিদেরা কখনোই উৎখাত হবে না ।
(২১.১০.২০২৪)