জানালে তোমার রাজ্য থেকে
কবি নেই, তুমি শোকাহত ।
কবি নেই, তুমি তো আছো ।
রাজকন্যা কবি, তুমি কি বুঝেছো ?
তোমার শোকাহত অস্তিত্বের আঙিনাতেই
কবি কিন্তু পেয়ে গেলেন অমরত্ব ।
যে জলে আগুন জ্বলের মতো
তোমার কৈশোর থেকে এই যৌবন কালেই,
তোমার কবিটি বেঁচে ছিল । হয়তো বয়সী,
কিন্তু মননে, মস্তিষ্কে, দ্রোহে আর অভিমানে
ছিলেন তোমাদের সমকক্ষ, চির তারুণ্যে ।
কবির কবিতা পড়ে
অগণন যৌবন গিয়েছিল একদিন
মিছিলে আর মিছিলে,
এরপর বিজয় শেষে কবির স্বদেশ যখন হাঁটছিল
কতগুলো খুব ভুল পথে,
কবি লিখলেন কবিতা আবারো
কথা ছিল, কথা ছিল বোলে....
কবিতা শিল্পের এক সুচারু হাহাকারে ।
আর অন্যদিকে, কৈশোরে এক প্রেম হারিয়ে
কাটিয়ে দিলেন কবি তার সমগ্র জীবন
দুঃখ এবং নিঃসঙ্গতার এক নিসর্গে ।
হয়তো সে নিসর্গে থাকতো না অন্তত একাকিত্ব,
যদি পথ ভুলে এক পাষাণী এসে
হৃদয়ের সামান্য ঋণ দিতো ।
সুতরাং এমন কবির জন্য,
জানি তুমি হয়ে উঠবেই শোকাহত ।
এবং শোকাহত হবার মুহূর্তটিই তোমার
কবিকে অমর করে তোলে ।
কেননা নিজেও তুমি জানো রাজকন্যা
কবির কবিতার আগুন জ্বলতে থাকবে অনির্বাণ
তোমাদের হৃদয়ের
এবং আমাদের অশ্লীল সভ্যতার
মানুষ না বোঝা জলে ।
(১৫.১২.২০২৪)