দর্শন কুড়োতে থাকো, এখান ওখান থেকে ।
খেতে থাকো গ্রাম্য কিশোরী যেমন খায়
কুড়িয়ে কুড়িয়ে তার দু'বেণী দুলিয়ে টসটসে
রসালো নানা ফল ।
সীমানা, প্রাচীর অথবা দেয়াল
যা ইচ্ছে কঠিন করে গড়ে ফেলো তোমার চারদিকে ।
কার কি হবে তাতে ? থাকো না সেখানে
রাজকুমারীর মতো প্রতিদিন  
অতিরিক্ত সেজেগুজে পুতুলের মতোন অসার ।
টাকা পয়সার চিন্তা যে সকল ভদ্রের থাকে না
হে রমণী,
সেই সব বস্তুবাদী গৃহ অলংকার ধার করা
সহস্র দর্শন নিয়ে
নিজের মাহাত্ম্য জাহির করেন।

কী যে বলতে চাও মাঝে মাঝে,
দস্তভয়েস্কির ইডিয়ট হলেও যে কেউ বুঝবে ।
আমার সমৃদ্ধ এই মন বুঝতে জন্ম নিতে হবে বহুবার,
পান করতে হবে এক সহস্র আরব্য রজনীসম আমার
দু'চরণ ধৌত পানি ।
আমার কোনো প্রকার দর্শনের প্রয়োজন নেই।
আমি নিজেই একজন সম্পূর্ণ দর্শন।
সেই অনন্যতা বুঝবে না তোমার মতো কেউ
যে লেপন করে রাখে তার মনে আর ত্বকে
চড়া প্রসাধন।
বরং ধার করা দর্শনের তুমি
নির্বোধ অপমানের সব ফলক উঁচিয়ে
কখোনোই করতে চেও না আমার সীমানা লঙ্ঘন।

(২৭.১১.২০২৪)