আমরা আজও পারিনি ।

হয়তো সমমনা, নিকটজনের কাছে
নিভৃতে, চুপিসারে বা মনের ভেতরে
অগ্নিগিরির মতো উচ্চারণ করেছি,
তবে পারি না আজও রাজপথে দাঁড়িয়ে
প্রবল চিৎকারে কাঁপিয়ে দিতে শাসকের আত্মা,

পারিনি আজো
বুনে দিতে সুখী সফল কৃষকের মতো
আমাদের রাষ্ট্রের জমিতে নাগরিকের সেই
অসামান্য অধিকার,

কেটে গেল যদিও অর্ধ শতাব্দী
এই লাল সবুজকে ভালোবেসে বেসে
যতই হই না আমরা অনন্য স্বাধীনতার পক্ষ,
সৈন্য যুগের সমর্থন দানকারী যাজক
অথবা
এ দেশে জন্ম নেয়া বিজাতীয় বোধের ধর্মান্ধ সেও,
আমরা কেউ পারি না ভয়হীন কন্ঠে ছুড়ে দিতে
শ্লেষ, সমালোচনা, তিরস্কারের বাক্য বাণ,
উক্তি, বার্তা, বাণী ।

অথচ পৃথিবীর কিছু
সর্বোচ্চ প্রতাপশালী দেশের মানুষেরা সে অধিকার
সূর্যের সহাস্য দীপ্তির মতো পেয়েছে,

একদিন যারা ছিল আমাদের দখলদার,
সেই পশ্চিম থেকে সাদা ভূতের মতো এসে
চড়ে বসেছিল আমাদের স্কন্ধে এবং শিখিয়েছিল
গণতন্ত্র,

ওরা কী দুর্দান্ত করে যায় ব্যঙ্গ, কত রকমের
অশ্লীল রঙ্গ, দেয় বুক ফুলিয়ে গালি
যেন শাসক তাদের পাড়ার অলি গলির
কোনো বেয়াদপ, শত্রুর মতো পড়শী,
ওদের শাসনকারী মসনদ হয় লজ্জিত,
থাকে নির্লিপ্ত অথবা ব্যাখ্যা করে বিতর্কিত কর্ম,

কিন্তু কখোনোই
অপদেবতার মতো ক্ষমতার অহংকারে ক্ষেপে উঠে
সাজায় না নাটক, করে না ষড়যন্ত্র,
পাঠায় না গুপ্ত ঘাতক, ক্ষমতাসীন দলের খুনি,
ব্যবহার করে না রাষ্ট্রের বাহিনী
স্তব্ধ করে দিতে
বাক স্বাধীনতার স্বাধীন অধিপতি কোনো নাগরিক ।

(৩০.০৩.২০২৫)