দু দন্ড দ্বিধার পরে দুই দন্ড ভাবি
আমি কি কবিতা লিখতে পারি ?
ছিল আমারো রোজেনা
এবং একটি হলুদ রঙের বাড়ি ।
তবে নাম ছিল তার নীলু
আমার পাড়ার নীল কামিজের পরী ।
নেড়ে দু হাত দেখতাম রোজ
সে করছে আলাপচারী ।
ছিল না আমার সে বয়স
হতে বারান্দার এক রাজপুত্র
এবং একটি সাদা বাড়ি ।
পড়েছো ? এবার বলো তুমি,
আমি কি কবিতা লিখতে পারি ?
ছিল না আমার নীরা ।
তবে কেউ কেউ নীরার মতোন
উঠতো জ্বলে যখন তখন
এবং নিভে যেতো তাড়াতাড়ি ।
সেসব দিনের সন্ধ্যাগুলো
দুষ্ট পাজি ছেলের মতোন
শুধু ছড়াতো মনের মাঝে
মন খারাপের বাড়াবাড়ি ।
পড়েছো ? তাহলে বলো তুমি,
আমি কি কবিতা লিখতে পারি ?
তবে ছিল আমার লাবণ্য।
আর বোলো না সে কথা
আমি তো ছিলাম বন্য,
এবং বুঝিনি হৃদয় থেকে
আরো বেশী প্রয়োজন টাকাকড়ি ।
অথচ চলায় বলায়
রবি বাবুর গল্পের মতোন
ছিল তার নিখুঁত নায়িকাগিরি ।
কবিতা না, শেষ পর্যন্ত ওদের জন্য
কবিতার সাথে থাকতে হয়
ঐ রবি ঠাকুরের মতো জমিদারী ।
এ বিষয় থাক, মূল কথাতে এবার ফিরি ।
মাঝে মাঝে কিছু কবিদের হই মুখোমুখি
যখন তাদের আশ্চর্য কবিতা পড়ি
যেন কবিতার তারা এক একজন পয়গম্বর
আর আমি যেন
টুকরি নিয়ে ফুটপাতে বসে থাকা
প্রান্তিক মানের শব্দ ও বাক্যের
এক পরাজিত শীর্ণ দেহের ব্যাপারী ।
এর পরে বলতে হয় না কাউকে,
দ্বিধার প্রচন্ড কামড়ে চিৎকার করে উঠি,
আমি কি কবিতা লিখতে পারি ?
(২৪.১১.২০২৪)