আমার কবিতা এমনই হবে,
উপড়ে নেবে তোমাদের সবুজ শস্য,
আবার ফিরে আসার ধানসিড়ি,
ফুটো করে দেবে তোমাদের সব সোনার নির্মিত তরী।
বিতাড়িত করবে মেঘ, আগুন জ্বালাবে আকাশে,
পয়গম্বরের মতো ছড়াবে অভিশাপ
তোমাদের মত্ত জীবনের মধুচন্দ্রিমা বাতাসে,
রুদ্ধ করে দেবে রুদ্রের মতোন
জীবন সুন্দর বলে যাওয়া
তোমাদের যত আহা মরি রে সংলাপ।

আমার কবিতায় নিহত হবে যত বেঈমান ঈশ্বরী,
আর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হবে চিরস্তব্ধ
কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে রাখা তাদের প্রেমালাপ।

কুকরী, খঞ্জরের মতোন কবিতা করবে প্রশ্নবিদ্ধ
অসাম্যের দৌলতে তোমাদের এ জীবন উপভোগ,
আমার কবিতা শব্দ বাক্যের আঙুল তুলে
চিহ্নিত করবে
তোমাদের বিলাসিতার যত গ্লানিহীন রোগ।

আমার কবিতা এমনই হবে,
কবিতার ভুবনে নেই যেহেতু মহামান্য আদালত,
নেই রাষ্ট্র ও তার সংবিধানের কর্তৃত্ববাদ,
অতএব বাদ রাখতে পারো পাঠ,
এছাড়া পাবে না কোনো উপায়
যা দিয়ে করবে আমার কবিতাকে বরবাদ।

তোমরা মেনে নিয়েছো অনেকে,
তবে আমি কখনো মানি নি
পুরো পৃথিবীটা জুড়ে
প্রতিটি মানুষ জীবনের স্তরে স্তরে
সৃষ্টি রহস্য অথবা মানবের দ্বারা সৃষ্ট
বৈষম্যবাদের এই শয়তানোচিত বুনিয়াদ।

(১২.০৭.২০২৪)