আমরা মূলত দুটি পৃথক মঞ্চেই সংশ্লিষ্ট,
তোমারটি স্নিগ্ধ অববাহিকার মতো দৃষ্টিনন্দন,
দান করে মাঝে মাঝে নান্দনিকতার জল  
আমাদের খাণ্ডবদাহনের মতো রঙ্গমঞ্চে ।

তাই জানতে পারিনি তুমি কী করছিলে,
তুমিও জানতে না আমি কী করছিলাম ।
দুজনেই দু'প্রান্ত থেকে ভেঙে দিচ্ছিলাম
আমাদের বন্ধুগণের বিপত্তির খাঁচা ।

অতঃপর বন্ধুদের মঞ্চে উঠে যখন বলছি
নির্মল অন্তরে নিজস্ব সংগ্রামের সংলাপ,
দেখলাম তোমার সুন্দর মুখের সুষমা হঠাৎ
গম্ভীর ও ধূসর,
এবং সে মুখ থেকে ধ্বনিত হতেই
জিজ্ঞাসার মতো একটি তিরস্কার বাক্য,
অনুভূত হলো বাতিল করছি যেন তোমার অবদান,
কেড়ে নিচ্ছি
চতুরের মতো একাই বিজয়ের কৃতিত্ব ।

তুমি কিন্তু এও জানো না,
আমি একক কৃতিত্বের বিষ কখনো করি না ধারণ,
সে কথা সংরক্ষিত আছে এ অঙ্গনের
প্রতিক্রিয়াশীল আবহে ।
কিন্তু কখনোই তা স্বীকৃত হয় না কারো ক্ষেত্রেই
আমাদের টিকে থাকার এই ঠোকাঠুকি চর্চার চাতালে ।

অতএব যদি জানা থাকতোই,
তুলে ধরতাম তোমারই সুকর্ম চরিত্র
তীব্র মশালের মতো
বন্ধুদের মাঝে আমার রোমাঞ্চিত বয়ানে ।

দুঃখ শুধু ভেবেছিলাম,
এই প্যাঁচানো কৃষ্টি থেকে বহুদূরে তুমি
নির্মোহ এবং বিশুদ্ধ জাত শিল্পীর মতো
অবস্থান করো,

অথচ তুমি নাটমন্দির থেকে বিতাড়িত করে
আমার সে মুগ্ধ ভাবনা,
নিভিয়ে দিলে মঞ্চের আলো, নামালে পর্দা,
স্থগিত করে দিলে আমাদের নিবিড় মঞ্চায়ন ।

তবু থামাতে পারেনি এই হৃদয়ে রোমান্টিসিজম
তোমার হৃদয়ের অবুঝ ও আকস্মিক দুর্বৃত্তায়ন ।

(১৩.০৩.২০২৫)