বিকেলের বৈকাল হ্রদে তোমাকে নিয়ে
সাঁতার কাটবো ভেবেছিলাম,
কিন্তু সন্ধ্যা হলো, বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠলো-
তুমি এলে না,
মনোভঙ্গের ম্যান্ডোলিন বাজিয়ে আমার সময় কাটলো।
জোছনা দুধের ফেনার মতো জমছিলো,
যতো আওয়াজ ছিলো পৃথিবীর
ধীরে ধীরে কমছিলো,
শুধু একটা আওয়াজ বুকের মধ্যে ক্রমাগত বাড়ছিলো-
ব্যথাহত হৃদয়ের ধুকপুক সে,
যে হৃদয় 'তোমার না-আসা'র আগুনে পুড়ছিলো-
কেবলি পুড়ছিলো।
অথচ তুমি আসবে বলে একটু আগেও সে হৃদয়
আনন্দের মন্দাকিনীতে ভাসছিলো,
আর মৃদুমন্দ বাতাসে তার স্রোতের আওয়াজ
সারেঙ্গীর মতো বাজছিলো, যার ছন্দে
লণ্ঠন জ্বালিয়ে জোনাকিরা বণ্টন করছিলো ভালোবাসা
একে অপরের সাথে- মনে হচ্ছিলো।
কিন্তু এখন মনে হয় কালো কালো শেয়াল রক্তচোখা
কিলিবিলি করছে অন্ধকারে- ভুতুড়ে অন্ধকারে-
একটু আগেও যা রোমাঞ্চকর আলো-আঁধারি ছিল।
একটি অতি সম্ভাব্য প্রেমের গল্প
এভাবে হয়ে গেল ভূতের গল্প- অভাব্য, এ অভাব্য!
তোমার প্রত্যেকটি 'আসা' চিরকাল প্রেমের গল্প,
প্রত্যেকটি 'না-আসা' ভূতের গল্প।
© শুকদেব চন্দ্র মজুমদার
০৫-০২-২০২২