জলের তৃষ্ণায় অক্ষরেখা বেড়ে যায় ক্রমশঃ
কক্ষচ্যূত গ্রহ দুঃস্বপ্নের চক্রে ঘুরে ঘুরে
লাটিমের ধারাপাত খুলে বসে পইথানের পাশে;
জল গড়িয়ে যায় প্রবল স্রোতে চতুর্দশীর রাতে।

মগ্নতার অনুধ্যানে জল জমে বরফ হলে
হাসনাহেনার ডানা খোঁজে মহারাত্রির গভীরতা,
আঁধারের ভাঁজ খুলে কবির হাতে চাষ হয় উষ্ণতার
মহুয়া জ্যোৎস্নার গোপন কবিতা।

পারমিতা!
লালনে পালনে জল ঝরুক আজ কবিতায়;
ঋদ্ধ রবির সৌরকলায় রোপিত হোক সৌরবীজ
তোমার স্বর্ণালী বিভার বীজতলায়।

জলে কোনো রঙ ছিল না, অথবা দিবাচন্দ্রকলায়
সমস্ত রঙেরা ছিল রৌদ্রমেলার বোরখায়; -
আমি জানি, কবিতা হঠাৎ কথা কয় গতিময়তায়
তোমার হৃদয় মুগ্ধতায়।

পারমিতা! জলের তৃষ্ণায় নদী কেন লোনাজলে ধায়!