জীবন সংসারে স্বামীঘরে রূপা,  অতি আদরে, কেটে যায় কিছুদিন,
আত্মশক্তি  যেন জ্যোতিষ্মান হয়ে, দৃপ্ত-প্রাণে সংসার করছে রঙ্গিন।
ঘরের চাবি আঁচলে খচিত, বড় বউ নামে, খ্যাতি ছড়িয়েছে সংসার
অনন্ত আত্ম-চেতনা স্থির যেন সে,  বুদ্ধি দীপ্তিতে ভাসে চারিধার।

বসনভূষণ চাল-চলনে রূপা, বড় বউ সাজে, রূপে লাবন্যে মাধুরী
চারিপাশ তার অবাদ সুখে ছড়াছড়ি , স্বামীর ভালোবাসার লহরী।
যেই আধাঁরে কেটেছিলো শৈশব, সৎ মায়ের ঘরে,আজ তা রঙিন,
সুখের গলিতে অগ্নিশিখা যেন, ছুটে চলছে উর্ধ্ব জীবনপথে সঙ্গিন।

ধোঁয়াটে  আলোয়, অন্ধকারের ছাপে, কোন এক নারীর আগমন,
রূপা আঁচ করতে পেরে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে মা'কে করে আলিঙ্গন।
মায়ের আঁচলের পরশ লোভে রূপা, ভুলে গেলো  অগ্নিগিরির শৈশব,
আজো যেন সৎ মায়ের আঁচলে নিজের মাকে খোঁজে,ভবের  ভৈরব।

তেঁতুলের স্বাদ টক থাকে সদা, এই সংসারে, কুতীক্ষ্ণ  মনে সৎ মা,
যুগ থেকে যুগান্তরে যেমনি হচ্ছিলো আজো যেন কোন ব্যতিক্রম না।
রূপার সাজানো সংসারে, ধূর্ত বুদ্ধিবলে, ছড়াতে ব্যস্ত, সাপের বিষ,
আঁখির দৃষ্টি হাসি খুশি ভরা সৎ মায়ের,অন্তরে সাজনো  কালো শিষ।

রক্তনয়নে রূপার সুখে ক্ষিপ্ত সৎ মা, খুঁজে ফিরছেন হাঁড়ি ভাঙ্গনের ছল,  
যেই ঘরে তাঁর তপা রাণী হবার কথা, সেই ঘরে রূপার সুখে ছলছল।  
কানভারী করে চলেছে, রূপার সংসারে যেন ভাঙা নূপুরের ভাঙা সুর
বাস্তবতা বড়ই সত্য, নিন্দিত সৎ মা, স্বামী বুঝলো রূপা তার নূর।  


রচনাকাল
২০।০৫।২০১৯
আবুধাবী।


বিঃদ্রঃ-  "রূপা" কবিতাটি প্রথম লিখেছিলাম ০৯।০৫।২০১৪ সালে, এতদিন পর রূপার ধারাবাহিকতায়  "রূপা ২" নিয়ে আবার  ফিরে এলাম। আশা করি পুরো  কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগলে। একজন দুঃখিনী জীবন চিত্র   তুলে ধরার চেষ্টা  করেছি  কবিতায়।   প্রথম কবিতাটি  পড়তে  চাইলে এই লিংকে  যেতে পারেন ।https://www.bangla-kobita.com/shubro/post20140509114943/