অলি থেকে কলি,কলি থেকে ফুল -
সেকি অফুরান সৌন্দর্য !!
কোনো শীতের রাতে তার আবির্ভাব ,
শৈশবের চঞ্চলতা, কৈশোরের দুরন্তপনার গল্প শুনে;
আমি তো হতবাক!!
এক মাত্র দাদার সাথে খালে-বিলে মাছ ধরা, ঝগড়া-ঝাটি
আবার দাদার মিষ্টি শাসন , রীতিমত অদ্ভুত আদর্শ
আমাকে বড়ই মুগ্ধ করলো।
তখন ছিলো ফাগুণ মাস, তার অঙ্গে লাবণ্যের ছোঁয়া,
চোখ দুটি যেন সন্ধ্যে প্রদীপ। চুলগুলো যেন ময়ূরের পেখম,
খোঁপায় একটা বেলী ফুল গুঁজে রাখতো সারাদিন।
জেনেছি বেলীফুল তার খুবই প্রিয়, আশ্চর্য হবার মতো কিছুই নেই
সে যেন নিজেই একটা বেলী ফুল!!
স্রষ্টার অদ্ভুত চিন্তা ভাবনার সৃষ্টি সে।
হয়তো সেই ফুলটি কোনো রাজার বাগানে জন্মায়নি,
তাই তো সে রাজকুমারী নয় , কিন্তু সৌন্দর্যে কনকচাঁপার ঢালা,
সন্ধ্যামেঘের সোনার আভার মতো তার রূপ।
মনটা যেন তার শঙ্খী নদীর মতো উদার,
কয়েকদিনের কথোপকথনে আমি তা আঁচ করতে পেরেছি।
মাটির পৃথিবীতে তার মাটির মতো মন আমাকে যেন মোহিত করলো,
তাই তো ছুটে গিয়েছিলাম তার কাছে,
বেলীফুলের মালা দিবো তার কন্ঠে।
সেদিন ছিলো বরষার আকাশ, চারিদিকে ঘোর কালো জগত
সারাদিনের বৃষ্টি মাথায় নিয়ে নদী পার হ'য়ে
ফাগুনি সন্ধ্যায় উপস্থিত তার গৃহে ।
লোকমুখে শুনেছি, সকালের সূর্য যেমনি সুন্দর!!
তেমনি ঐ আলোতে নারীর সৌন্দর্য চকচক করে।
কিন্ত আমার কাছে তাই মনে হয়নি, আমার কাছে মনে হয়েছিলো যেন
সন্ধ্যাপ্রদীপের রূপ নারীর সেরা সৌন্দর্য। তার রূপে আমাকে তা জানান দিলো,
আমি সেই ফুলটির বাঁকা চোখের চাহনি দেখে আমি তো নির্বাক!
যেন দোয়েল চোখ, আকাশের মাঠে সন্ধ্যাদীপ
মনের টানে জ্বেলে দিলাম, আমার প্রেমের প্রদীপ।
হৃদয়ভূমি আজ জাগ্রত, তার প্রেমে অবিরত
তার নিখুঁত প্রেমের শিখায় আমি যে সিক্ত ।
রচনাকাল
৯।৩।২০১৭
ইউ এ ই