যৌবনের বসন্ত এখনো লাগেনি তার শরীরে
ফুটেনি গোলাপের কলি থেকে বৃত্ত । গত ফাল্গুনে
চৌদ্দ ছুঁয়েছে দেখেছি , তবে উর্বর মাটি যেন তার শরীর,
কিন্তু এই ফাল্গুনে দেখি কপালে লাল সিঁদুর উঠেছে হাতে শাঁখা।
ভুত দেখার মতো আমি চমকে উঠলাম!! একি হলো !
তার শরীরে অন্য কারো বসবাস, সে যেন উঠে দাঁড়াতে অক্ষম!
অধিক বোঝা তার সাধ্য আছে যার উঠাবার শক্তি আছে।
ঋতুবদলের খেলা ঘরে সময় বড় নির্মম নিষ্ঠুর,
আমি তার দিকে তাকাতেই - দেখি নাবালিকার মলিন হাসি
এই তো সেইদিন এমনি মুচকি হেসে আমায় বলেছিলো-
" এই আমি একটু তোমার হাতটা ধরি ? একবার ধরবো শুধু"
আমি হাসির ছলে বললাম- "আগে বড় হও তখন শক্ত করে ধরো"
সেই লজ্জা রাঙ্গা ঠোঁটে হাসি ছড়িয়ে পালালো।
আর সামনে আসেনি, যেন সে প্রস্ফুটিত হবার সময় চেয়ে নিয়েছে।
আজ আকাশে হুঙ্কার! চারিদিকে ঘোরকালো অন্ধকার
সুমদ্রে যেমন বন্যার জল টালমাটাল তেমনি আজ সেই প্রসবিনী উত্তাল
তার সমস্থ শরীরের তুফান বইছে। এক অপ্রস্ফুটিত ফুল থেকে ফুল ফুটবে
যখন তার চোখে মুখে বইছে অশ্রুধারা কষ্টের বীণার সুর
তখন তার স্বামী মেতে আছে মদ্যবিলাসে।
সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর কান্নায় পৃথিবী হেসে উঠলো
কিন্তু ভূতলে পরে আছে সেই অপ্রস্ফুটিত গোলাপটি ,অতি নিঃশব্দে
নিস্পাপ অবুঝ শিশু যেন ওঁয়া বলে কেঁদে উঠে বললো "মা...।
রচনাকাল
১৪।১।২০১৭
ইউ এ ই