- রিমা
- হুম
-তুমি কী ব্যস্ত ?
-হুম.........সত্যি বলবো ?
-তোমার যা ইচ্ছে।
-হি হি হি একটু তো ব্যস্ত আছি বৈকি। আচ্ছা তোমার হাতে ওটা কী?
- না ওটা কিছু না।
- বললেই হলো!! আমি তো দেখতে পাচ্ছি। তুমি কিছু একটা লুকিয়েছ। বলো কি লুকিয়ে রেখেছ?
- একটা রক্ত গোলাপ।
- হি হি হি কাউকে দিবে বুঝি ?
- নাহ!!
-তাহলে ?
- নিজে দেখার জন্য কিনেছি।
- কি এমন আছে, ঐ গোলাপে ? যে, তোমাকে কিনতে হবে?
-এক পৃথিবী স্বপ্ন!!
- হি হি হি তুমি যে যা বলো না?
- আচ্ছা রিমা ...
- হুম......
-তুমি ফুলের সৌন্দর্য বোঝ?
- ওমা সেকি কথা বুঝবো না কেনো ? অবশ্যই বুঝি। তাই তো মাঝে মাঝে চুলে জড়াই।
খোঁপায় বাঁধি, হাতে রাখি।
- আচ্ছা, বলো তো এই ফুলের সৌন্দর্য বর্ণনায় কি আছে ?
- আরে ধুর!! ফুলের আবার এমন বর্ণনা করা যায় নাকি!! ফুল তো উপভোগ্য।
-আছে বৈকি। তুমি শুববে ?
- হুম...... শুনবো , যদি ভালো লাগে।
- তুমি আলতো করে হাসো তো ?
- হি হি হি হি
- এই হাসি তোমার লাল ঠোঁটের রক্ত জবার রঙ। যেথায় তোমার রূপের গৌরভ। সুবাসে সুবাসিত কমলার কোষ। আমি উন্মাদ হয়ে চেয়ে দেখি ফুলের হাসি।
- যাহ!! আমার বুঝি লজ্জা করে না ?
- এই তোমার লজ্জা নামক পরাগ ধ্বনি পুষ্পমঞ্জরী। ছোঁয়াতেই পরশ মাখি মধুর নেশায়। ক্ষণে ক্ষণে আমাকে ভাবায়। এত রূপ তুমি কোথায় পেলে গো ?
- তুমি না হি হি হি ......
- এই মুচকি হাসির বৃতির উপমা, রক্ত জবার অস্তিত্ব। পুষ্পাক্ষ আদর করে পরশ বুলানোর মত।
- এই ভালো হচ্ছে না বলে দিচ্ছি কিন্তু ...।
- এই শাসন দৃষ্টি তোমার লজ্জা রাঙা আঁখি, যেন এই ফুলের কলি, যে কলি যেন দোয়েলের চোখ। যেখানে এই ধরিত্রীর সমস্থ রূপ লুকিয়ে আছে।
- আর কিছু ?
- এই রক্ত জবা যেন তোমার মত । যার নজরে পরবে সে বারংবার চায়বে তোমার সৌন্দর্য । সেকি মায়াময়ী পরী। রূপের অপস্বরী।
আচ্ছা-
- এই বৃন্তক যেন তোমার কানের দুল।
- হি হি হি হি
- তুমি আসলেই রক্ত জবা ফুল।
- আর বলো না গো সখা হি হি হি আমি লাজে আকুল।
- আমি বলবো। আমি আজ বলাবো। আমি শুনবো। আমি আজ শুনাবো। তুমি যে পূর্ণাঙ্গ একটি ফুল।
- হি হি হি হি।
রচনাকাল
১৮।১২।২০১৬্
ইউ এ ই।