তুমি যখন হাঁটছিলে সোনালী উষায়
খোলা মাঠে রক্ত রাঙা সোনার নূপুর পায়ে
তখন নিচে দূর্বা ঘাসগুলো যেন আনন্দে উদ্ভাসিত।
আমি দূর থেকে তাদের নৃত্য দেখলাম, খুশির কলরবে
দীর্ঘ দিন পর তোমার উপস্থিত, তাদের যেন মাতিয়ে তুলেছে।
অভিমান করে ক'দিন থাকা যায় বলো ?
আমি জানি তুমিও আমায় ভুলতে পারোনি মনে রেখেছ প্রতিক্ষণ,
যেমনি আমিও রেখেছিলাম তোমাকে আমার প্রতি নিঃশ্বাসে।
ভুল না হয় কিছুটা আমার কিছুটা তোমার ছিলো,
তাই বলে অভিমানে কাটিয়ে দিলে এতগুলো দিন?
হে প্রিয়ে অনুরাগ ভালো, অভিমান ভালো না
তুমিই বলতে , বলো বলতে না, তবে কেনো এই ভাবে চলে গেলে ?
অভিমান করে ? তোমায় ভেবে ভেবে আমিও যে কত কষ্টে কাটিয়েছি সারাক্ষণ ।
এই দেখো আজ যখন তুমি আবার ফিরে এলে,
আমার ঘরের আলো যেন, ধূসর ডানার অগ্নি ছেড়ে রূপালী সাজে সেজেছে।
এই খাট দেখো পালঙ্ক সোফা সেটকগুলো দেখ,
কতদিন তারা তোমার হাতের স্পর্শ পাইনি,আজ তারা যেন কত খুশি!
কত আনন্দিত! তারাও তো জানে শিশিরের জল ছাড়া দূর্বাঘাসও মৃত প্রায়।
তেমনি তুমি ছাড়া আমিও যে মৃত প্রিয়ে,
মনে পড়ে প্রিয়ে, যেদিন তুমি অভিমান করে চলে যাচ্ছিলে,
আমি সেদিন এই জলচকিতে বসে কেবল হা' করে দেখছিলাম, তোমায়...।
আমার মুখটা ছিলো বিবর্ণ, অভিমান তো আমারও কিছু থাকতে পারে তাই না ?
ভেবেছিলাম আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ফিরে আসবে, কিন্তু এলে না,
তবে আজ যখন তুমি এলে ঐ জলচকিটাকে দেখ খুশিতে
সে কেমন ফিকফিক করে হাসছে চার পায়ে দাঁড়িয়ে।
ভাগ্যিস তুমি আজ ফিরে এলে, আমার যে এখন যাবার পালা,
বুকের ব্যথাটা বড্ড বেড়েছে জানো ! কলিজাটা বড় থরথর করছে!!
কাঁশিতে ধ্বক ধ্বক করছে পুরো শরীর, সময় বুঝি পুরালো প্রিয়ে,
ঐ দেখো দেখো যমদূত দাঁড়িয়ে আছে আমার শিয়রে,
তাকে একটু বলো না প্রিয়ে,
তোমার সাথে আরো কিছুদিন, আরো কিছুটা সময় কাটাতে চাই,
তোমার হাতের একটু স্পর্শ পেতে চাই , তোমার সাথে আমি বাঁচতে চাই।
বলো না প্রিয়ে , বলো ,বলো ।
জানি ভদ্রলোক নাছোড় বান্দা, আমায় ছেড়ে যাবে না, আমাকে নিয়েই ফিরবে,
তবে তুমি ভালো থেকো, এখানে এক সাথে থাকতে পারিনি তো কি হয়েছে ?
ওপাড়ে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো, শুধু তোমার জন্য অপেক্ষা।
রচনাকাল
১২। ১৬। ২০১৬
ইউ এ ই।