জনক রাজা কন্যা কোলে নিয়ে গেলেন- দর্শন শিবের লাভে,
ভগবান শিবের হরধনু আজ দেখবে সীতা- প্রণাম করবে সবে।
রাণী সুনয়না আজ অসীম খুশি - তাঁর শুন্য কোলে ফুটেছে ফুল,
সীতার মুচকি হাসি মধুর অমৃত যেন- সীতার কর্ণে বসিয়েছে দুল।
বহুকাল পূর্বে জনক পূর্বজ দেবব্রতকে -মহাদেব করেছিলেন দান,
এই হরধনু কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমাধান দিবে- রেখো তার মান।
প্রভু শিবের হরধনু দৈবিক বটে- আহা দেখতে সেকি বাহার,
নড়ানো যায় না সরানো যায় না- যেন অন্তঃনিহিত মাহাত্ব্য তার।
আজ রাজর্ষি জনকের প্রভুত ইচ্ছা- হরধুনু স্পর্শ করুক সীতা,
আশীর্বাদ নিক মহাদেব শিবের কাছে- ভগবানের সাথে হোক মিতা।
সীতাকে স্পর্শ করালেন শিবের হরধনু - অসীম প্রেম ভক্তি ভরে,
কিন্তু সীতা ধরে রাখলো ধনুকের গুণ - নড়ে চরে উঠালো উপরে।
কেঁপে উঠলো সমস্থ মিথিলা রাজ্য - অবাক সবার কঠিন আঁখি,
যে ধনুক কেউ নড়াতে পারে না- আজ সীতা তুলে নিলো সেকি?
দৈবরূপী ধনুকের উপর এমন অধিকার- এ যে সাধারণ কন্যা নয়,
আজ জনকপুরীতে ঈশরের আশীর্বাদ যেন- সবার তেমনি মনে হয়।
ভূমিজা কন্যা জনকের জানকি- ভূবন বিশ্বে আজ করছে কেমন খেলা,
দেবী সীতা যেন তার আপন মহিমা প্রকাশে - ভাসাচ্ছে সুখের ভেলা।
নবজাতক সীতা পিতার কোলে -হেলেদুলে হেসে দিলো মধুর হাসি,
সেই হাসিতে যেন মুক্তা ঝরে- আজ সুখের সমারোহে মিথিলাবাসি।
রচনাকাল
২৯।০৯।২০১৬
ইউ এ ই
বিঃদ্রঃ-প্রিয় কবিতাপ্রেমী আসরের কবিগণ, রামায়ণ হিন্দু ধর্মের একটি বড় গ্রন্থ।এটি রচনা করেছেন ঋষি বাল্মীকি মুনি। আমি চেষ্টা করবো পুরো রামায়নটাকে কবিতা আকারে আপনাদের সন্মুখে তুলে ধরার। এতে আমার ভুল ভ্রান্তি হলে মার্জনা করবেন এবং অনুগ্রহ করে আলোচনা করবেন। সবায়কে ধন্যবাদ।