সোনার বসন গায়ে জড়িয়ে- শ্রীরাম রূপে চমৎকার ,
ভরত লক্ষণ পাশে দাঁড়ালো- শত্রুঘ্ন যেন নিরাকার।
গুরু বৈশিষ্ঠের জ্ঞানের স্রোতে- কেটেছে শৈশব কাল,
আজ সুশিক্ষায় শিক্ষিত তারা- জ্ঞানের নৌকার পাল।
চার পুত্রের জনক দশরথ রাজা- আজ প্রসন্ন পূর্ণতা মনে,
অযোধ্যা নরেশ সর্ব সুখে সুখী- শ্রীরাম চন্দ্র আছে প্রাণে।
রাজা দশরথ সভা কক্ষে- বসেছেন উজির,মন্ত্রী নিয়ে,
প্রজাদের আগমন শুরু হলো- খুশি উত্তম বিচার পেয়ে।
এক বৃদ্ধা রমণী তার মনের কথা- বলতে চায় রাজারে,
প্রহরী তাঁকে বাঁধা দিলো- অগ্রে বনিক গুষ্টি যাবে সাদরে।
বৃদ্ধার চোখের জলে বক্ষ ভাসলো- হয়নি রাজাকে বলা,
রামচন্দ্রের চোখে শ্রাবণ ধারা- প্রশ্নঃ- "একি বিধান কলা"
রাজ্যে সবার অধিকার সমানতালে- থাকবে না ভেদাভেদ,
ধনী গরীবের কেনো এই পার্থক্য -তার বক্ষ করলো ছেদ।
চিন্তায় মগ্ন বিষন্ন মুখে- শ্রীরাম চন্দ্র ভাবছে কতো কথা,
মাতা কৈকেয়ী তা খেয়াল করলো- রামের মলিন রেখা।
অবাক কন্ঠে জিজ্ঞাসিলো- রাম মন কেনো এত অসার?
মনে মনে স্থির করলো- যাবে নগর পরিভ্রমনের সচার।
দশরথ রাজা মহাখুশি - রামের ইচ্ছার কথা জেনে,
প্রজা দর্শন উত্তম কাজ - রাজ্যের গরীব দুঃখীদের সনে।
রচনাকাল
২৮।০৯।২০১৬
ইউ এ ই
বিঃদ্রঃ-প্রিয় কবিতাপ্রেমী আসরের কবিগণ, রামায়ণ হিন্দু ধর্মের একটি বড় গ্রন্থ।এটি রচনা করেছেন ঋষি বাল্মীকি মুনি। আমি চেষ্টা করবো পুরো রামায়নটাকে কবিতা আকারে আপনাদের সন্মুখে তুলে ধরার। এতে আমার ভুল ভ্রান্তি হলে মার্জনা করবেন এবং অনুগ্রহ করে আলোচনা করবেন। সবায়কে ধন্যবাদ।