মেঘ রোদ্দরের খেলা,এই পড়ন্তবেলা
    নীড়ে ছুটে চলে পাখি সব,
মাঠের রাখাল রাজা গরু নিয়ে ঘরে
    থেমে যায় কোলাহল রব।

আজ সন্ধ্যার ক্ষণে উদাস কেন মনে
     ভেবে পেলাম না হায়!!
আকাশের তারা আঁধারে দিচ্ছে সারা
   আমি বসে আছি  নিরালায়।

হঠাত ধ্বনিত হলো মন চমকে গেল
      কি মধুর সুর সুরেলায়,
মনের সিন্ধুতীরে কানে বাজে সুমধুরে
      নীরব সুন্দর লোকালয়।

রজনী গভীরে, আমি মুগ্ধ সে কি রে
     আলো আঁধারে অদেখা,
হালকা বসনে,বুকের আঁচল ত্বরনে
       মানবী নাকি সুলেখা ?

কালোকেশী চুলে যেন সুবাসে দোলে
    পুলকে পূর্ণিত আমার প্রাণ,
ভাবপূর্ণ মনে আজ বড় আশাপূর্ণ ক্ষণে
    স্বপ্নে দেখা পরীর অবসান।

যে পরী স্বপ্নে জ্যোতির্ময়,আশা অবিরয়,
       পুষে আছি কত যতনে,
মনের আঙিনা-কোণে স্বপ্নে হেসেছি তনে
       প্রেমের আকর্ষণ রতনে।

মহাশূন্যে পরী সাধ জাগে হাত দুটি ধরি,
     ধ্যান ভেঙ্গে দেখি আঁখিজল,
হৃদয়-মাঝে,কষ্টের পদাবলীর সুর বাজে,
    আমি দাঁড়িয়ে স্তম্ভিত নিশ্চল ।

পরী যাকে নিয়ে বেঁধেছে ঘর সংসার সফর
      সেখানে সে অযাচিত ফুল কলি,
পরীর মুখের বুলি যেন কষ্টপাতার চাউনি
        স্বামী সোহাগহীন রং তুলি।

আমি কি করব হায় ভেবে ছুটে গেলাম তাই
     তার স্বামী দেখি অন্যের বিছানায়,
রাগ অনুরাগে বুজিয়ে তার সংসার গুছিয়ে
    ভেসে চললাম প্রেমকষ্ট মোহনায় ।

রচনাকাল
২৯।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।