আমি দেখেছি তারে স্বপ্নের সারে
ভাবছে আমায় নিয়ে গভীর রাত,
আঁখিনীড়ে বাসা মনে শতেক আশা
ভাবতে ভাবতে মনে,কাটে প্রভাত।
তার এলোমেলো চুল,কানের দুল
পায়ের পায়েল বাজে সদা রিনঝিন,
পড়নে নীল শাড়ি, রূপের ছড়াছড়ি
অঙ্গের আঁখিস্থলে, বুকে পিনপিন।
ঐ মধুকর বুকখানী গড়নে ঝলকানি
পাহাড়ের স্তূপ জমে আছে কামনা,
দর্শন পাবো তারে প্রেমের অভিসারে
শিশিরের জল করে ঝলমল বাসনা।
আমার বুকের মাঝে চিত্তের ছৌনাচ
সীমার বাঁধন ছেড়ে যায় সারা রাত,
পূর্ণতা যত পাই আনন্দে সুখ বাটাই
রবির আলো হাসে শূন্যতায় প্রভাত।
আজ ছুঁয়ে দিলো মন চুমু আঁকরণ
বিলিয়ে দিলো বৃন্দাবনের যত সুখ
মোটা অক্ষরে দেখি মনে ছবি রাখি
শিউলি বকুলে ভরি বাসিফুলে দুঃখ।
আমি কবে পাবো তারে বধুর বেশে
ফুলে ফুলে ভরে যাবে মধুর সুবাস,
ঐ রঙ্গিন মন সুখে ভাসে সারাক্ষণ
এই মনের ঘরে শুধু তোমার নিবাস।
একা ঘরে নিস্তব্ধ রাত কাটে অবসাদ
হঠাত বধু সেজে বসে আছ বিছানায়,
আমি ভীষন চমকে উঠি ধরি হাত দুটি
চোখ ভেঙ্গে মিশে যায় স্বপ্ন ভ্রম ছলনায়।
রচনাকাল
০৩।১১।২০১৪
ইউ এ ই।